পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাস্তিক আছে তার অস্ফুট কলিকা। সমস্ত জীবন মোর তাই দিয়ে পুষ্পমুকুটিত । পেয়েছি যা অযাচিত প্রেমের অমৃতরস, পাই নি যা বহু সাধনায়— দুই মিশেছিল মোর পীড়িত যৌবনে । কল্পনায় বাস্তবে মিশ্রিত, সত্যে ছলনায়, জয়ে পরাজয়ে, বিচিত্রিত নাট্যধারা বেয়ে, আলোকিত রঙ্গমঞ্চে প্রচ্ছন্ন নেপথ্যভূমে, স্থগভীর স্বষ্টিরহস্তের যে প্রকাশ পর্বে পর্বে পর্যায়ে পর্যায়ে উদবারিত আমার জীবনরচনায়, তাহারে বাহন করি স্পর্শ করেছিল মোরে কতদিন জাগরণক্ষণে অপরূপ অনির্বচনীয় । আজি বিদায়ের বেলা স্বীকার করিব তারে, সে আমার বিপুল বিস্ময় । গাব আমি, হে জীবন, অস্তিত্বের সারথি আমার, বন্ত রণক্ষেত্ৰ তুমি করিয়াছ পার, আজি লয়ে যাও মৃত্যুর সংগ্রামশেষে নবতর বিজয়যাত্রায় । শাস্তিনিকেতন רסין • כן ר سb v রঙ্গমঞ্চে একে একে নিবে গেল যবে দীপশিখা, রিক্ত হল সভাতল, আঁধারের মসী-অবলেপে স্বপ্লচ্ছবি-মুছে-যাওয়া স্বযুপ্তির মতো শাস্ত হল চিত্ত মোর নিঃশব্দের তর্জনীসংকেতে । এতকাল যে সাজে রচিয়াছিন্থ আপনার নাট্যপরিচয় প্রথম উঠিতে যবনিকা, সেই সাজ মুহূর্তেই হল নিরর্থক । চিহ্নিত করিয়াছিম আপনারে নানা চিহ্নে, নানা বর্ণপ্রসাধনে সহস্রের কাছে, মুছিল তা, আপনাতে আপনার নিগৃঢ় পূর্ণত। আমারে করিল স্তব্ধ, সূর্যাস্তের অস্তিম সংকারে