পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8〉や রবীন্দ্র-রচনাবলী ষোড়শ পরিচ্ছেদ রাজার আদেশমতো প্রজাদের অসন্তোবের কারণ অনুসন্ধানের জন্ত নক্ষত্র রায় স্বয়ং প্রাতঃকালে বাহির হইয়াছেন । তাহার ভাবনা হইতে লাগিল, মন্দিরে কী করিয়া যাই। রঘুপতি সম্মুখে পড়িলে তিনি কেমন অস্থির হইয়া পড়েন, আত্মসংবরণ করিতে পারেন না। রঘুপতির সম্মুখে পড়িতে তাহার সম্পূর্ণ অনিচ্ছা। এই জন্ত তিনি স্থির করিয়াছেন, রঘুপতির দৃষ্টি এড়াইয়া গোপনে জয়সিংহের কক্ষে গিয়া তাহার নিকট হইতে সবিশেষ বিবরণ অবগত হইতে পরিবেন। নক্ষত্র রায় ধীরে ধীরে জয়সিংহের কক্ষে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ করিয়াই মনে করিলেন, ফিরিতে পারিলে বাচি । দেখিলেন জয়সিংহের পুথি, তাহার বসন, তাহার গৃহসজ্জা চারি দিকে ছড়ানো রহিয়াছে, মাঝখানে রঘুপতি বসিয়া। জয়সিংহ নাই। রঘুপতির লোহিত চক্ষু অজারের ন্যায় জলিতেছে, তাহার কেশপাশ বিশৃঙ্খল। তিনি নক্ষত্র রায়কে দেখিয়াই দৃঢ় মুষ্টিতে র্তাহার হাত ধরিলেন। বলপূর্বক তাহাকে মাটিতে বসাইলেন । নক্ষত্র রায়ের প্রাণ উড়িয়া গেল। রঘুপতি তাহার অঙ্গার-নয়নে নক্ষত্র রায়ের মর্মস্থান পর্যস্ত দগ্ধ করিয়া পাগলের মতো বলিলেন, "রক্ত কোথায়।” নক্ষত্র রায়ের হৃৎপিণ্ডে রক্তের তরঙ্গ উঠিতে লাগিল, মুখ দিয়া কথা সরিল না । রঘুপতি উচ্চস্বরে বলিলেন, “তোমায় প্রতিজ্ঞ কোথায়। রক্ত কোথায় ।” নক্ষত্র রায় হাত নাড়িলেন, পা নাড়িলেন, বামে সরিয়া বসিলেন, কাপড়ের প্রান্ত ধরিয়া টানিতে লাগিলেন–র্তাহার ঘর্ম বহিতে লাগিল, তিনি শুকমুখে বলিলেন, *-7چt?* রঘুপতি কহিলেন, "এবার মা ষে স্বয়ং খড়গ তুলিয়াছেন, এবার চারি দিকে ৰে রক্তের স্রোত বহিতে থাকিবে—এবার তোমাদের বংশে এক ফোটা রক্ত যে বাকি থাকিবে না। তখন দেখিব নক্ষত্র রায়ের ভ্রাতৃস্নেহ ।” “बाष्ट्रात्रश् । शः श: शः । ॐांकूद्र”-नकब ब्रां८ञ्चब्र झांनि चांब्र बांश्ब्रि इहेण मां, গলা শুকাইয়া গেল। রঘুপতি কহিলেন, “আমি গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত চাই না। পৃথিবীতে গোবিন্দমাণিক্যের যে প্রাণের অপেক্ষ প্রিয়, আমি তাহাকেই চাই । তাহার রক্ত লইয়া আমি গোবিন্দমাণিক্যের গায়ে মাখাইতে চাই-তাহার বক্ষস্থল রক্তবর্ণ। হইয়া যাইবে—সে রক্তের চিহ্ন কিছুতেই মুছিবে না। এই দেখো—চাহিয়া দেখো ।”