পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8αν রবীন্দ্র-রচনাবলী করিয়া যায়—তাহাদিগকে পরাজিত নৃপতি বলিয়া বোধ হয় ; মহাভারতের দিজিয়ী পাণ্ডবদের কথা মনে পড়ে । একদিন সৈন্তেরা আসিয়া সেলাম করিয়া কহিল, "মহারাজা সাহেব।” নক্ষত্র রায় थांफ़ां श्हेम्नां यनिएलन । “श्रांभद्रा भशांब्रां८छद्र छछ खांन निzउ श्रांनिम्नांक्षि-श्रांभब्रां জানের পরোয় রাখি না। বরাবর আমাদের দস্তুর আছে—লড়াইয়ে যাইবার পথে আমরা গ্রাম লুঠ করিয়া যাই—কোনো শাস্ত্রে ইহাতে দোষ লিখে না ।” নক্ষত্র রায় মাথা নাড়িয়া কছিলেন, “ঠিক কথা, ঠিক কথা।” সৈন্তেরা কহিল, "ব্রাহ্মণ ঠাকুর আমাদের লুঠ করিতে বারণ করিয়াছেন। আমরা জান দিতে যাইতেছি অথচ একটু লুঠ করিতে পারিব না এ বড়ো অবিচার।" নক্ষত্র রায় পুনশ্চ মাথা নাড়িয়া কহিলেন, “ঠিক কথা, ঠিক কথা ।” “মহারাজার যদি হুকুম মিলে তো আমরা ব্রাহ্মণ ঠাকুরের কথা না মানিয়া লুঠ করিতে যাই ।” নক্ষত্র রায় অত্যন্ত স্পর্ধার সহিত কহিলেন, "ব্রাহ্মণ ঠাকুর কে। ব্রাহ্মণ ঠাকুর কী জানে। আমি তোমাদিগকে হুকুম দিতেছি তোমরা লুঠপাট করিতে যাও।” বলিয়া এক বার ইতস্তত চাহিয়া দেখিলেন—কোথাও রঘুপতিকে না দেখিয়া নিশ্চিস্ত হইলেন । কিন্তু রঘুপতিকে এইরূপে অকাতরে লঙ্ঘন করিয়া তিনি মনের মধ্যে অত্যন্ত আনন্দ লাভ করিলেন । ক্ষমতা-মদ মদিরার মতো তাহার শিরায় শিরায় সঞ্চারিত হইতে লাগিল। পৃথিবীকে নূতন চক্ষে দেখিতে লাগিলেন। কাল্পনিক বেলুনের উপরে চড়িয়া পৃথিবীটা যেন অনেক নিয়ে মেঘের মতে মিলাইয়া গেল। এমন কি, মাঝে মাঝে কদাচ কখনো রঘুপতিকেও নগণ্য বলিয়া মনে হইতে লাগিল। সহস৷ বলপূর্বক গোবিন্দমাণিক্যের প্রতি অত্যস্ত ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন। মনে মনে বার বার করিয়া বলিতে লাগিলেন, “আমাকে নির্বাসন । একটা সামান্ত প্রজার মতো আমাকে বিচারসভায় আহবান । এবার দেখি কে কাহাকে নির্বাসিত করে। এবার ত্রিপুরাস্বদ্ধ লোক নক্ষত্র রায়ের প্রতাপ অবগত হইবে।” নক্ষত্র রায় ভারি উৎফুল্প ও স্ফীত হইলেন। নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর অনর্থক উৎপীড়ন ও লুঠপাটের প্রতি রঘুপতির বিশেষ বিরাগ ছিল । নিবারণ করিবার জন্ত তিনি অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন। किरू नय्छब्रा नक्रब ब्रांtञ्चव्र चांख नाहेग्रां ऊँॉझांटक अयटश्ला कब्रिज । डिनि नक्ज রায়ের কাছে বলিলেন, “অসহায় গ্রামবাসীদের উপরে কেন এ অত্যাচার ”