পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૭8 রবীন্দ্র-রচনাবলী চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ নক্ষত্র রায় সৈন্ত লইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন, কোথাও তিল মাত্র বাধা পাইলেন না। ত্রিপুরার ষে গ্রামেই তিনি পদার্পণ করিলেন, সেই গ্রামই তাহাকে রাজা বলিয়া বরণ করিতে লাগিল । পদে পদে রাজত্বের আস্বাদ পাইতে লাগিলেন-ফুধা আরও বাড়িতে লাগিল, চারি দিকের বিস্তৃত ক্ষেত্র, গ্রাম, পর্বতশ্রেণী, নদী সমস্তই আমার বলিয়া মনে হইতে লাগিল, এবং সেই অধিকার-ব্যাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নিজেও যেন অনেক দূর পর্যন্ত ব্যাপ্ত হইয়া অভ্যস্ত প্রশস্ত হইয়া পড়িতে লাগিলেন। মোগলসৈন্যেরা যাহা চায়, তিনি তাহাই তাহাদিগকে লইতে আলী হুকুম দিয়া দিলেন । মনে হইল এ সমস্তই আমার এবং ইহারা আমারই রাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছে। ইহাদিগকে কোনো সুখ হইতে বঞ্চিত করা হইবে না—স্বস্থানে ফিরিয়া গিয়া মোগলেরা তাহার । আতিথ্যের ও রাজবং উদারতা ও বদান্ত তার অনেক প্রশংসা করিবে, বলিবে, “ত্রিপুরার রাজা বড়ো কম রাজা নহে।” মোগল-সৈন্যদের নিকট হইতে খ্যাতি লাভ করিলার জন্য তিনি সততই উংস্থক হইয়া রছিলেন । তাহারা তাহকে কোনো প্রকার শ্রুতিমধুর সম্ভাষণ করিলে তিনি নিতান্ত জল হইয়া যান। সর্বদাই ভয় হৰ পাছে কোনো নিন্দার কারণ ঘটে । রঘুপতি আসিয়া কহিলেন, “যুদ্ধের তো কোনো উদ্যোগ দেখা যাইতেছে না।” নক্ষত্র রায় কহিলেন, “না ঠাকুর, ভয় পাইয়াছে।” বলিয়া অত্যস্ত হাসিতে লাগিলেন । রঘুপতি হাসিবার বিশেষ কোনো কারণ দেখিলেন না, কিন্তু তথাপি হাসিলেন । নক্ষত্র রায় কহিলেন, "নক্ষত্র রায় নবাবের সৈন্ত লইয়া আসিয়াছে। বড়ো সহজ ব্যাপার নহে ।” রঘুপতি কহিলেন, “দেখি এবার কে কাহাকে নির্বাসনে পাঠায়। কেমন ।” নক্ষত্র রায় কহিলেন, “আমি ইচ্ছা করিলে নির্বাসন-দণ্ড দিতে পারি, কারারুদ্ধ করিতেও পারি—বধের হুকুম দিতেও পারি। এখনো স্থির করি নাই কোনটা করিব।” বলিয়া অতিশয় বিজ্ঞভাবে অনেক বিবেচনা করিতে লাগিলেন । রঘুপতি কহিলেন, “অত ভাবিবেন না মহারাজ। এখনো অনেক সময় আছে । o: আমার ভয় হইতেছে, গোবিন্দ্রমাণিক্য যুদ্ধ না করিয়াই আপনাকে পরাভূত করিবেন /* नक्रब ब्रांब्र कश्रिणन, “cन एकभन कब्रिग्रा इहे८ब