পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বীণাগঞ্জিত মঞ্জভাষিণী কমলকুঞ্জাসনা, সুখে গৃহকোণে ধন মানহীন খ্যাপার মতন আছি চিরদিন উদাসীন আনমনা । আপন অংশ নিতেছে গুনিয়াআমি তব স্নেহবচন শুনিয়া পেয়েছি। স্বরগসুধা । সেই মোর ভালো, সেই বহু মানি— তবু মাঝে মাঝে কেঁদে ওঠে প্ৰাণী, সুরের খাদ্যে জান তো মা বাণী, নরের মিটে না ক্ষুধা । যা হবার হবে, সে কথা ভাবি না, মা গো, একবার ঝংকারো বীণা, ধরহ রাগিণী বিশ্বপ্নাবিনা অমৃত-উৎস—ধারা--- যে রাগিণী শুনি নিশিদিনমান বিপুল হর্ষে দ্রব। ভগবান মলিন মর্ত-মাঝে বহমান - নিয়ত আত্মহারা । যে রাগিণী সদা গগন ছাপিয়া হেমশিখাসম উঠিছে কাপিয়া, অনাদি অসীমে পন্ডিছে বঁাপিয়া, বিশ্বতন্ত্রী হতে । যে রাগিণী চির-জন্ম ধরিয়া চিত্তকুহরে উঠে কুহরিয়া, ছুটে সহস্ৰ স্রোতে । নিমেষে প্ৰকাশে, নিমেষে মিলায়— বালুকার পরে কালের বেলায় ছায়া-আলোকের খেলা ! জগতের যত রাজা-মহারাজ সকালে ফুটিছে সুখদুখলাজ টুটিছে সন্ধ্যাবেলা। শুধু তার মাঝে ধ্বনিতেছে। সুর বিপুল বৃহৎ গভীর মধুর