পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\SD V Sq রবীন্দ্র-রচনাবলী বৈকুণ্ঠ। সে কী কথা তিনকড়ি ! তুমি না খেয়ে যাবে! সে কি হয়। ঈশেন! ঈশান। আমি জানি নে। আমি চললুম। [প্ৰস্থান অবিনাশ ।। চলো-না তিনকড়ি। একরকম করে হয়ে যাবে। তিনকড়ি। টানাটানি করে দরকার কী। আপনারা এগোন। খাওয়াবার রাস্তা বৈকুণ্ঠবাবু জানেন- সেদিন টের পেয়েছি। অবিনাশ । তা হলে ও লাইনটাকেদার। ওর নাম কী, খেয়ে এসে হবে। [তিনকড়ি ও বৈকুণ্ঠের প্রস্থান তৃতীয় দৃশ্য কেদার কেদার। শ্যালীর বিবাহ তো নির্বিঘ্নে হয়ে গেছে। কিন্তু বৈকুণ্ঠ থাকতে এখানে বাস করে সুখ হচ্ছে না। উপদ্রব তো করা যাচ্ছে, কিন্তু বুড়ো নড়ে না। বৈকুণ্ঠের প্রবেশ বৈকুণ্ঠ। এই—যে কেদারবাবু, আপনাকে শুকনো দেখাচ্ছে যে। অসুখ করে নি তো ? কেদার। ওর নাম কী, ডাক্তারে সকল রকম মানসিক পরিশ্রম নিষেধ করেছেবৈকুণ্ঠ। আহা, কী দুঃখের বিষয়! আপনি এখানেই কিছুদিন বিশ্রাম করুন। . কেদার। সেইরকমই তো স্থির করেছি। বৈকুণ্ঠ। তা দেখুন, বেণীবাবুকে— কেদার। বেণীবাবু নয়, বিপিনবাবুর কথা বলছেন বোধ হয়— বৈকুণ্ঠ। হা হা, বিপিনবাবুই বটে, ঐ-যে তিনি ছোটােবউমার কে হন— কেদার। খুড়ো হন— বৈকুণ্ঠ। খুড়েই হবেন। তা, তাকে আমার এই ঘরে থাকতে দিয়েছেন, সে কি তার— কেদার। না, ওর নাম কী, তার কোনো অসুবিধে হয় নি, তিনি বেশ আছেন— বৈকুণ্ঠ। জানেন তো কেদারবাবু, আমি এই ঘরেই লিখে থাকি— কেদার। তা বেশ তো, আপনি লিখবেন, ওর নাম কী, আপনি লিখবেন— তাতে বিপিনবাবুর কোনো আপত্তি নেই। বৈকুণ্ঠ। না, আপত্তি কেন করবেন, লোকটি বেশ-কিন্তু তার একটি অভ্যাস আছে, তিনি বিছানায় শুয়ে শুয়ে প্ৰায় সর্বদাই গুন গুন করে গান করেন, তাতে লেখবার সময়কেদার। কী বলে, সেজন্যে ভাবনা কী। আপনি তঁাকে ডেকেই বলুন-না— বৈকুণ্ঠ। না না না না। সে থাক। তিনি ভদ্রলোক— কেদার। ওর নাম কী, আমিই তাকে ডেকে খুব ভৎসনা করে দিচ্ছি— বৈকুণ্ঠ। না না কেদারবাবু, সে করবেন না— লেখার সময় গান তো আমার ভালোই লাগে। কিন্তু আমি ভাবছিলুম, হয়তো আর-কোনো ঘরে বেণীবাবু একলা থাকলে বেশ মন খুলে গাইতে পারেন । কেদার। ওর নাম কী, ঠিক উলটাে। বিপিনবাবুর একটি লোক সর্বদাই চাই—