পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী আজি বিশ্বময় ব্যাপ্ত হয়ে গেছ প্ৰিয়ে, তোমারে দেখিতে পাই সর্বত্ৰ চাহিয়ে । ধূপ দগ্ধ হয়ে গেছে, গান্ধবাম্প তার পূৰ্ণ করি ফেলিয়াছে আজি চারি ধার । বিশ্বের কবিতাররূপে হয়েছ উদয়তবু কোন মায়াডোরে চির-সোহাগিনী, হৃদয়ে দিয়েছ ধরা, বিচিত্র রাগিণী জাগায়ে তুলিছ প্ৰাণে চিরস্মৃতিময় { তাই তো এখনো মনে আশা জেগে রায় আবার তোমারে পাব পািরশবন্ধনে । এমনি সমস্ত বিশ্ব প্রলয়ে সৃজনে কখনো বা ভাবময়, কখনো মুরতি । রজনী গভীর হল, দীপ নিবে আসে ; পদ্মার সুদূর পারে পশ্চিম আকাশে কখন যে সায়াহেকীর শেষ স্বৰ্ণরেখা মিলাইয়া গেছে ; সপ্তর্ষি দিয়েছে দেখা তিমিরগগনে ; শেষ ঘট পূর্ণ ক’রে কখন বালিকাবন্ধু চলে গেছে। ঘরে ; হেরি কৃষ্ণপক্ষ রাত্রি, একাদশী তিথি, দীর্ঘপথ, শূন্যক্ষেত্র, হয়েছে অতিথি কখন গিয়েছে থেমে কলরবরাশি মাঠপারে কৃষিপল্লী হতে ; নদীতীরে বৃদ্ধ কৃষাণের জীর্ণ নিভৃত কুটিরে কখন জুলিয়াছিল সন্ধ্যাদীিপখানি, কখন নিবিয়া গেছে- কিছুই না জানি । কী কথা বলিতেছিন্নু, কী জানি, প্ৰেয়সীী, অর্ধ-অচেতনভাবে মনোমাঝে পশি স্বপ্নমুগ্ধ—মতো । কেহ শুনেছিলে সে কি, কিছু বুঝেছিলে প্ৰিয়ে, কোথাও আছে কি কোনো অর্থ তার ? সব কথা গেছি। ভুলে, শুধু এই নিদ্রাপপুৰ্ণ নিশীথের কুলে

  • डोद्भव पिन्व८ ।।

G S