পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় br> a আধুনিক রাজধানী আমি তারি। আধুনিক ছেলে, ঘরে আনি সর্বশেষে (“হেথা আমি- করেছ সম্রাট’ ছত্রগুলির স্থানে) পূর্বতন পাঠে ছিল— জ্যোৎসার বিকাশ ! এত জ্যোৎস্না এত সাধে আর কোথা আছে ! প্ৰভুত্বের সিংহ বাধিছে একটি সুরে ; স্তব্ধ রাজধানী দাড়াইয়া নতশিরে মুখে নাহি বাণী ! ইহা ছাড়া কোনো কোনো অংশ পরিবর্তিত হইয়াছে ৷ ‘নিভূত সভায়- মিলি” বা বর্তমান ১১-১৩ ছত্রের স্থলে ছিল— পূর্বে এক দিন বধির জীবন ছিল সংগীতবিহীনপ্রেমের আহবানে আজি আমার সভায় এসেছে বিশ্বের কবি, তারা গান গায় সাধনায় মুদ্রিত পাঠ প্ৰচলিত সঞ্চয়িতা গ্রন্থের গ্রন্থপরিচয়ে আদ্যন্ত সংকলিত হইয়াছে । বলা প্রয়োজন, ঐ পাঠই এই কবিতার ‘মূল’ পাঠ নয় ; কারণ, রবীন্দ্রনাথ নিজেই প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে লিখিতেছেন— প্রেমের অভিষেক কবিতাটি চিত্ৰা কাব্যে যে আকারে বাহির হইয়াছে তাহাকে সংশোধন বলা যায় না— কারণ, ইহাই উহার আদিম রূপ । সাধনা’য় যখন পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত মূর্তিতে দেখা দিয়াছিল তখন কাহারো কাহারো মনে এতই আঘাত করিয়াছিল যে, বন্ধুবিচ্ছেদ হইবার জো হইয়াছিল । [৬ চৈত্র ১৩০২] —প্ৰবাসী । বৈশাখ ১৩৪৯, পৃ. ৪ “পূৰ্ণিমা’ কবিতার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সমকালীন একটি রচনা উদ্ধার করা যাইতে পারে— সে দিন সন্ধ্যাবেলায় একখানা ইংরাজি সমালোচনার বই নিয়ে কবিতা সৌন্দৰ্য আর্ট প্রভৃতি মাথামুণ্ড নানা কথার নানা তর্ক পড়া যাচ্ছিল । এক-এক সময় এই-সমস্ত কথার বাজে আলোচনা পড়তে পড়তে শ্ৰান্তচিত্তে সমস্তই মরীচিকাবৎ শূন্য বোধ হয় ; মনে হয়, এর বারো-আনা কথা Q11Q为夺