পরিশিষ্ট ○○ぬ গিয়া নিজের কাছ হইতে দূরেই তাহাকে রাখিতে হয়। কিন্তু একান্ত চেষ্টাতেও সে টাকাকে কৃপণ আপনার অন্তরের মধ্যে রাখিতে পারে না ; বাহিরের টাকা বাহিরেই পড়িয়া থাকে এবং মৃত্যুকালে ধূলির সহিত তাহার কোনো প্রভেদ থাকে না। কৃপণ তবুও তো জানে টাকা অামার, টাকা আমি পাইয়াছি। বাহিরের ধনকে অন্তরে ন পাইয়াও আমরা তাহাকে পাইলাম বলিয়া স্বীকার করি ; আর যিনি আমাদের একমাত্র অস্তরের ধন, যিনি অস্তরের অন্তরতম, তাহাকে বস্তুরূপে মূর্তিরূপে মনুষ্যরূপে বাহিরে না পাইলে কি আমাদের পাওয়া হইল না ? যিনি চক্ষুষশ্চক্ষু, চক্ষুর চক্ষু, র্তাহাকে কি চক্ষুর বাহিরে দেখিব ? যিনি শ্রোত্রস্ত শ্রোত্ৰং, কর্ণের কর্ণ, তাহাকে কি কর্ণের বাহিরে শুনিব ? যাহার সম্বন্ধে ঋষি বলিয়াছেন— ন সদশে তিষ্ঠতি রূপমস্ত ন চক্ষুষা পশুতি কশ্চনৈনং। হৃদ মনীষা মনসাভিকৃষ্ণপ্তে। য এনমেবং বিদুর মৃত্যস্তে ভবস্তি ॥ ইহার স্বরূপ চক্ষুর সম্মুখে স্থিত নহে, ইহাকে কেহ চক্ষুতে দেখে না— হৃদিস্থিত বুদ্ধি-দ্বারা ইনি কেবল হৃদয়েই প্রকাশিত, ইহাকে যাহার এইরূপেই জানেন র্তাহার। অমর হন— এমন-যে আত্মার অন্তরাত্মা তাহাকে বহির্বস্তুর মতো বাহিরে পাইতে গেলেই তাহাকে পাওয়া যায় না এ কথা আমরা কেন না স্মরণ করি ? র্যাহারা ঈশ্বরকে পাইবার চেষ্টা করিয়াছেন তাহারা কী বলিয়াছেন ? তাহার বলেন— ন তত্র স্বর্ষে ভাতি ন চন্দ্র তারকং নেমা বিদ্যুতো ভাস্তি কুতোহয়মগ্নিঃ । স্বর্য র্তাহীকে প্রকাশ করিতে পারে না, চন্দ্রতারণও তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে না, এই বিদ্যুংসকলও তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে না, তবে এই অগ্নি তাহাকে কী প্রকারে প্রকাশ করিবে ? তাহারা বলেন— তমাত্মস্থং যে অকুপশ্যস্তি ধীরা: তেষাং শাস্তি: শাশ্বতী নেতরেষাম। যে ধীরের তাহাকে আত্মস্থ করিয়া দেখেন র্তাহারাই নিত্য শান্তি লাভ করেন আর কেহ নহে। আর আমরা ঈশ্বরকে পাইবার কোনো চেষ্টা কোনো সাধনা না করিয়া এমন কথা কোন স্পর্ধায় বলিয়া থাকি যে, নিরাকার ব্রহ্মকে আত্মার মধ্যে না দেখিয়া, S|| 06:
