২৩৮ | রবীন্দ্র-রচনাবলী রত্নাবলী । তোমার দিন এবার হয়ে এসেছে, অহংকার ঘুচিবে। শ্ৰীমতী। তা ঘুচবে। কিছুই বাকি থাকবে না, কিছুই না। রত্নাবলী । এখন আমার পালা, আমি প্ৰস্তুত হয়ে আসছি। [প্ৰস্থান ভদ্রা। কিছুই ভালো লাগছে না। বাসবী বুদ্ধিমতী, সে আগেই কোথায় সরে পড়েছে। অজিতা । আমার কেমন ভয় করছে। উৎপল পর্শর প্রবেশ নন্দা । ভগবতী, কোথায় চলেছেন ? সম্পর্ক। উপর হয়ে কের “শািন্ত হয়ে শক্তি আৰ পথে কাল পড়তে শ্ৰীমতী । ভগবতী, আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাবে না ? উৎপলপর্ণ। কেমন করে নিয়ে যাই ? তোমার উপরে যে পূজার আদেশ আছে। শ্ৰীমতী। পূজার আদেশ এখনো আছে দেবী ? -- উৎপল পৰ্ণ । সমাধান না হওয়া পৰ্যন্ত সে আদেশের তো অবসান নেই। মালতী । মাতঃ, কিন্তু রাজার বাধা আছে যে ! / উৎপল পৰ্ণ । ভয় নেই, ধৈৰ্য ধরে । সে বাধা আপনিই পথ করে দেবে। [প্ৰস্থান ভদ্রা। শুনিছ অজিতা, রাস্তায় ও কি ক্ৰন্দন, না গর্জন ? নন্দা। আমার তো মনে হচ্ছে উদ্যানের ভিতরেই কারা প্রবেশ করে ভাঙচুর করছে। শ্ৰীমতী, শীঘ্ৰ চলো রাজমহিষী মাতার ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিই গে। ^ [প্ৰস্থান ভদ্রা। এসো। অজিতা, সমস্তই যেন একটা দুঃস্বল্প বলে বোধ হচ্ছে। [রাজকুমারী প্রভৃতির প্রস্থান মালতী। দিদি বাইরে ঐ ক্ষে ক্ষণের কারা শুনতে পাচ্ছি। আকালে দেশী নািম লাগল বুঝি ? জন্মোৎসবে এই মৃত্যুর তাণ্ডব কেন ! শ্ৰীমতী । মৃত্যুর সিংহদ্বার দিয়েই জন্মের জয়যাত্রা। মালতী। মনে ভয় আসছে বলে বড়ো লজ্জা পাচ্ছি দিদি। পূজা করতে যাব, ভয় নিয়ে যাব-এ আমার সহ্য হচ্ছে না । শ্ৰীমতী । তোর ভয় কিসের বোন ? মালতী। বিপদের ভয় না। কিছুই যে বুঝতে পারছি নে, অন্ধকার ঠেকছে, তাই ভয়। শ্ৰীমতী। আপনাকে এই বাইরে দেখিস না। আজ ধীর অক্ষয় জন্ম তীর মধ্যে আপনাকে দেখ, তাের ভয় ঘুচে যাবে। মালতী। তুমি গান করে দিদি, আমার ভয় যাবে। ] আর রেখে না আঁধারে আমায় Ģirts তোমার মাঝে আমার আপনারে varia (r. Ne সুখের গ্লানিসয় না যে আর,
