পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औश्नठि see চলিত। আমরা এ বাড়ির ঘরান্দায় দাঁড়াইয়া খোলা জানালার ভিতর দিয়া অট্টহাস্যের সহিত মিশ্ৰিত অদ্ভুত গানের কিছু কিছু পদ শুনিতে পাইতাম এবং অক্ষয় মজুমদার’ মহাশয়ের উদ্দাম নৃত্যেরও কিছু কিছু দেখা যাইত । গানের এক অংশ এখনো মনে আছে ws 35ed Vera Gafra, Veda, GCMG, বলহু স্বাধুর্কিসের ক্টোকেএ বড়ো হাসির কথা, হাঁসির কথা, হাঃ হাঃ হাঃ হাসবে লোকে - এতবড়ো হাসির কথাটা যে কী তাহ আজ পর্যন্ত জানিতে পারি নাই- কিন্তু এক সময়ে জানিতে পাইব, এই আশাতেই মনটা খুব দোলা খাইত ।* একটা নিতান্ত সামান্য ঘটনায় আমার প্রতি গুণদাদার স্নেহকে আমি কিরূপ বিশেষভাবে উদবোধিত করিয়াছিলাম। সে কথা আমার মনে পড়িতেছে। ইস্কুলে আমি কোনোদিন প্রাইজ পাই নাই, একবার কেবল সচ্চরিত্রের পুরস্কার বলিয়া একখানা ছন্দোমালা” বই পাইয়াছিলাম। আমাদের তিনজনের মধ্যে সত্যই পড়াশুনায় সেরা ছিল। সে কোনো-একবার পরীক্ষায় ভালোরাপ পাস করিয়া একটা প্রাইজ পাইয়াছিল। সেদিন ইস্কুল হইতে ফিরিয়া গাড়ি হইতে নামিয়াই দৌড়িয়া গুণদাদাকে খবর দিতে চলিলাম। তিনি বাগানে বসিয়া ছিলেন। আমি দূর হইতেই চীৎকার করিয়া ঘোষণা করিলাম, “গুণদাদা, সত্য প্রাইজ পাইয়াছে।” তিনি হাসিয়া আমাকে কাছে টানিয়া লইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি প্রাইজ পাও নাই ?” আমি কহিলাম, “না, আমি পাই নাই, সত্য পাইয়াছে।” ইহাতে গুণদাদা ভারি খুশি হইলেন। আমি নিজে প্রাইজ না পাওয়া সত্ত্বেও সত্যের প্রাইজ পাওয়া লইয়া এত উৎসাহ করিতেছি, ইহা তাহার কাছে বিশেষ একটা সদগুণের পরিচয় বলিয়া মনে হইল। তিনি আমার সামনেই সে কথাটা অন্য লোকের কাছে বলিলেন । এই ব্যাপারের মধ্যে কিছুমাত্র গীেরবের কথা আছে, তাহা আমার মনেও ছিল না— হঠাৎ তাহার কাছে প্রশংসা পাইয়া আমি বিস্মিত হইয়া গেলাম। এইরূপে আমি প্রাইজ না পাওয়ার প্রাইজ পাইলাম- কিন্তু সেটা ভালো হইল না । আমার তো মনে হয়, ছেলেদের দান করা ভালো কিন্তু পুরস্কার দান করা ভালো নহে- ছেলেরা বাহিরের দিকে তাকাইবে, আপনার দিকে তাকাইবে না, ইহাই তাহদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। মধ্যাহ্নে আহারের পর গুণদাদা। এ-বাড়িতে কাছারি করিতে আসিতেন । কাছারি তাহদের একটা ক্লাবের মতোই ছিল- কাজের সঙ্গে হাস্যালাপের বড়োবেশি বিচ্ছেদ ছিল না। গুণদাদা কাছারিঘরে একটা কীেচে হেলান দিয়া বসিতেন- সেই সুযোগে আমি আন্তে আন্তে র্তাহার কোলের কাছে আসিয়া বসিতাম। তিনি প্রায় আমাকে ভারতবর্ষের ইতিহাসের গল্প বলিতেন । ক্লাইভ ভারতবর্ষে ইংরেজরাজত্বের প্রতিষ্ঠা করিয়া অবশেষে দেশে ফিরিয়া গলায় ক্ষুর দিয়া আত্মহত্যা করিয়াছিলেন, এ কথা তাহার কাছে শুনিয়া আমার ভারি আশ্চর্য লাগিয়াছিল। এক দিকে ভারতবর্ধের নব ইতিহাস তো গড়িয়া উঠিল। কিন্তু আর-এক দিকে মানুষের হৃদয়ের অন্ধকারের মধ্যে এ কী বেদনায় রহস্য প্রচ্ছন্ন ছিল। বাহিরে যখন এমন সফলতা অন্তরে তখন এত নিফলতা কেমন করিয়া থাকে। আমি সেদিন অনেক ভাবিয়ছিলাম - এক-একদিন গুণদাদা আমার ভাবগতিক দেখিয়া বেশ বুঝিতে পারিতেন যে আমার পকেটের মধ্যে একটা খাতা লুকানো আছে। একটুখানি প্রশ্ৰয় পাইবামাত্র খাতটি তাহার আবরণ হইতে নির্লজভাবে বহির হইয়া আসিত। বলা বাহুল্য, DD DB BDDD BBD DBB YS BDSDS DDBD DuBDD DBBB BBB BDB লাগিতে পারিত। তবু বেশ মনে পড়ে, এক-একদিন কবিন্ধের মধ্যে ছেলেমানুষের মাত্রা এত অতিশয় বেশি থাকিত যে তিনি হা হা করিয়া হাসিয়া উঠতেন। ভারতমাতা সম্বন্ধে কী-একটা কবিতা লিখিয়ছিলাম। ১ দ্রা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরোয় । ২ বস্তুত, এই অদ্ভূতনাট্য জ্যোতিরিন্দ্রনাথের রচনা। স্ত্ৰ জ্যোক্তিমৃতি, পৃ ৭২ e visą VivrRI -Mus; N e NMN YAME (WMW)