পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88S ब्रौश-ब्रष्मायनी ইচ্ছাপূর্বক নিজেকে যেন সরাইয়া ফেলিয়া জগৎকে দর্শকের মতো দেখিতে চেষ্টা করিতাম, তখন মনটা খুশি হইয়া উঠিত । আমার মনে আছে, জগৎটাকে কেমন করিয়া দেখিলে যে ঠিকমত দেখা যায় এবং সেইসঙ্গে নিজের ভার লাঘব হয়, সেই কথা একদিন বাড়ির কোনো আমীয়কে বুঝাইবার চেষ্টা করিয়ছিলামকিছুমাত্র কৃতকাৰ্য হই নাই, তাহা জানি। এমন সময়ে আমার জীবনের একটা অভিজ্ঞতা লাভ করিলাম, তাহা আজ পর্যন্ত ভুলিতে পারি নাই। । সদর স্ত্রীটের রান্তটা যেখানে গিয়া শেষ হইয়াছে সেইখানে বোধ করি ফ্ৰী-ইস্কুলের বাগানের গাছ দেখা যায় । একদিন সকালে বারান্দায় দাড়াইয়া আমি সেই দিকে চাহিলাম। তখন সেই গাছগুলির পল্লবাত্রাল হইতে সূর্যোদয় হইতেছিল। চাহিয়া থাকিতে থাকিতে হঠাৎ এক মুহুর্তের মধ্যে আমার চােখের উপর হইতে যেন একটা পর্দা সরিয়া গেল। দেখিলাম, একটি অপরাপ মহিমায় বিশ্বসংসার সমাচ্ছন্ন, আনন্দে এবং সৌন্দর্যে সর্বত্রই তরঙ্গিত । আমার হৃদয়ে স্তরে স্তরে যে একটা বিষাদের আচ্ছাদন ছিল তাহা এক নিমিষেই ভেদ করিয়া আমার সমস্ত ভিতরটাকে বিশ্বের আলোক একেবারে বিছুরিত হইয়া পড়িল। সেইদিনই ‘নিৰ্ব্বারের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতাটি’ নির্বারের মতোই যেন উৎসারিত হইয়া বহিয়া চলিল। লেখা শেষ হইয়া গোল কিন্তু জগতের সেই আনন্দরূপের উপর তখনো যবনিকা পড়িয়া গেল না। এমনি হইল আমার কাছে তখন কেহই এবং কিছুই অপ্রিয় রহিল না। সেইদিনই কিংবা তাহার পরের দিন একটা ঘটনা ঘটিল, তাহাতে আমি নিজেই আশ্চর্য বোধ করিলাম। একটি লোক ছিল সে মাঝে মাঝে আমাকে এই প্রকারের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিত, “আচ্ছা মশায়, আপনি কি ঈশ্বরকে কখনো স্বচক্ষে দেখিয়াছেন।” আমাকে স্বীকার করিতেই হইত, দেখি নাই- তখন সে বলিত, “আমি দেখিয়াছি।” যদি জিজ্ঞাসা করিতাম “কিরূপ দেখিয়াছ সে উত্তর করিত, চোখের সম্মুখে বিজবিজ করিতে থাকেন। এরাপ মানুষের সঙ্গে তত্ত্বালোচনায় কালব্যাপন সকল সময়ে শ্ৰীতিকর হইতে পারে না । বিশেষত, তখন আমি প্রায় লেখার ঝোকে থাকিতাম । কিন্তু লোকটা ভালোমানুষ ছিল বলিয়া তাহাকে বাধা দিতে পরিতাম না, সমস্ত সহিয়া যাইতাম । এইবার, মধ্যাহ্নকালে সেই লোকটি যখন আসিল তখন আমি সম্পূর্ণ আনন্দিত হইয়া তাহাকে বলিলাম, “এসো এসো।” সে যে নির্বোিধ এবং অদ্ভুত রকমের ব্যক্তি, তাহার সেই বহিরাবরণটি যেন খুলিয়া গেছে। আমি যাহাকে দেখিয়া খুশি হইলাম এবং অভ্যর্থনা করিয়া লইলাম সে তাহার ভিতরকার লোক- আমার সঙ্গে তাহার অনৈক্য নাই, আীয়তা আছে। যখন তাহাকে দেখিয়া আমার কোনো পীড়া বোধ হইল না, মনে হইল না যে আমার সময় নষ্ট হইবে, তখন আমার ভারি আনন্দ হইল- বোধ হইল, এই আমার মিথ্যাজাল কাটিয়া গেল, এতদিনে এই সম্বন্ধে নিজেকে বার বার যে কষ্ট দিয়াছি তাহা অলীক এবং অনাবশ্যক । আমি বারান্দায় দাড়াইয়া থাকি,তাম, রান্ত দিয়া মুটি মজুর যে-কেহ চলিত তাহদের গতিভঙ্গি, শরীরের গঠন, তাহদের মুখশ্ৰী আমার কাছে ভারি আশ্চর্যবলিয়া বোধ হইত ; সকলেই যেন নিখিলসমুদ্রের উপর দিয়া তরঙ্গলীলার মতো বহিয়া চলিয়াছে। শিশুকাল হইতে কেবল চোখ দিয়া দেখাই অভ্যন্ত হইয়া গিয়েছিল, আজ যেন একেবারে সমন্ত চৈতন্য দিয়া দেখিতে আরম্ভ করিলাম। রান্তা দিয়া এক যুবক যখন আর-এক মনে করিতে পরিতাম না-বিশ্বজগতের অতল স্পর্শ গভীরতার মধ্যে যে অফুরান রসের উৎস চারিদিকে হাসির কারনা করাইতেছে সেইটাকে যেন দেখিতে পাইতাম। : সামান্য কিছু কাজ করিবার সময়ে মানুষের অঙ্গে প্রত্যঙ্গে যো-গতিবৈচিত্ৰ্য প্রকাশিত হয় তাহা আগে করিল। এ সমস্তকে আমি স্বতন্ত্ৰ করিয়া দেখিতাম না, একটা সমটিকে দেখিতাম। এই মুহূর্তেই পৃথিবীর Si SiBBD DB BDBB BBB BBDB uBLBG LBDLDLLLS LCDBDBS Tu rir iBCDLDDBuui DDB uTBuB BLBiDL LDM LBuB LDBTD BLB BDLD LLLBDBDBGBLBLBLBDB DDirBB seaf- or