পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় \brО সুর বঁাধে আর সুর যে হারায় পলে পলে গান গেয়ে যে চলে তারা দলে দলে তার হারা সুর নাচের নেশায় ডানাতে তোর পড়ল ঝরি । অপ্রচলিত গন্ধরেখার পন্থে তোমার শূন্যে গতি লেখন রে মোর ছন্দ-ডানার প্রজাপতিস্বপ্নবনের ছায়ায় আলোয় বেড়াস দুলি পরান-কণার বিন্দুসুরার নেশার ঘোরে । চৈত্রহাওয়ায় যে চঞ্চলের ক্ষণিক বাসা পাতায় পাতায় করিস প্রচার তাহার ভাষাঅন্সরীদের দোলের দিনের আবীর-ধূলি কৌতুকে ভোর পাঠায় কে তোর পাখায় ভারে । তোর মাঝে মন কীর্তি আপন নিষ্কাতরেই করে হেলা । তার সে চিকন রঙের লিখন ক্ষণেক-তরেই খেয়াল-খেলা । সুর বঁাধে আর সুর সে হারায় দণ্ডে পলে, গান বহে যায় লুপ্ত সুরের ছায়ার তলে, পশ্চাতে আর চায় না। তাহার চপল তুলি— রায় না বাধা আপন ছবির রাখীর ডোরে । ۔۔۔۔۔ গীতবিতান তৃতীয় খণ্ডের (পৌষ ১৩৮১) গ্রন্থপরিচয়ে সম্পাদক বলেন, 'চঞ্চল’ কবিতায় বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি-ধূত ৮৯টি রূপান্তরের ভিতর উল্লিখিত শেষ সংকলনটি বিশিষ্ট । পূর্বে যে প্রজাপতি ছিল উদ্দিষ্ট এ স্থলে সে উপমা মাত্র । রবীন্দ্রনাথের ভাষায় (দেশ : ২৮ মাঘ ১৩৬৭ । পৃ. ৯৯)- “গানটি পুরাতনের নবীকরণ । মূল রচনা ১৩৩৩ সনের ২৭ ফায়ুনে আর এটির রচনা সম্ভবত ১৪। ভাদ্র ১৩৩৫ তারিখে । ঐ তারিখেই কবি এই গীতিকবিতা নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লিখিয়া পাঠান । সে লেখাতেও পরে কিছু কিছু পরিবর্তন করা হয় । “দোল (পৃ ২৯৬) কবিতার গীতরূপ ‘ওগো কিশোর আজি এই সূচনায় গীতবিতান গ্রন্থে দ্রষ্টব্য । নটীর পূজা ও নটরাজের অঙ্গীভূত বহু গান কবিতা-রচনার সম্ভবপর সূচীপত্র এ স্থলে দেওয়া যায় । নটীর পূজা -বৃত পূর্বগগন ভাগে ।।** ৫ মাঘ ১৩৩৩ নিশীথে কী হয়ে গেল মনে । শান্তিনিকেতন”, ৭। বৈশাখ ১৩৩৩ তুমি কি এসেছি মোর দ্বারে । ১ বৈশাখ ১৩৩৩ ১২ ১৩৩৮ পৌষ সংস্করণে যোগ করা হয় । ১৩। কবির জন্মদিনে (১৩৩৩) নটীর পূজা প্ৰথম অভিনয়, তৎপূর্বে অতি অল্পকালে ইহার রচনা শান্তিনিকেতনে। সুতরাং অধিকাংশ গানের (ঐ প্রথম অভিনয়ের) রচনার স্থাননির্দেশ বাহুল্যমাত্র ।