পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" ዓo8 রবীন্দ্র-রচনাবলী ছোটো টেবিল একখানি, কয়েকখানি ভাঙা চেয়ার ও আধখানা ছোটো টানাপাখা- তারও আবার এক দিক বুলিয়া পড়িয়ছিল। “জাতীয় হিতকর ও উন্নতিকর সমস্ত কাৰ্যই এই সভায় অনুষ্ঠিত হইবে, ইহাই সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল । যেদিন নূতন কোনও সভ্য এই সভায় দীক্ষিত হইতেন সেদিন অধ্যক্ষমহাশয় লাল পট্টবস্ত্র পরিয়া সভায় আসিতেন । সভার নিয়মাবলী অনেকই ছিল, তাহার মধ্যে প্রধান ছিল মন্ত্রগুপ্তি ; অর্থাৎ এ সভায় যাহা কথিত হইবে, যাহা কৃত হইবে এবং যাহা শ্রুত হইবে, তাহা অ-সভ্যদের নিকট কখনও প্ৰকাশ করিবার কাহারও অধিকার ছিল না । “আদি-ব্ৰাহ্মসমাজ পুস্তকাগার হইতে লাল-রেশমে-জড়ানো বেদমন্ত্রের একখানা পুঁথি এই সভায় আনিয়া রাখা হইয়াছিল। টেবিলের দুই পাশে দুইটি মড়ার মাথা থাকিত তাহার দুইটি চক্ষুকোটরে দুইটি মোমবাতি বসানো ছিল । মড়ার মাথাটি মৃত্য-ভারতের সাংকেতিক চিহ্ন। বাতি দুইটি জ্বালাইবার অর্থ এই যে, মৃত-ভারতে প্রাণসঞ্চার করিতে হইবে ও তাহার জ্ঞানচক্ষু ফুটাইয়া তুলিতে হইবে । এ ব্যাপারের ইহাই মূল কল্পনা । সভার প্রারম্ভে বেদমন্ত্র গীত হইতসংগচ্ছধিবম সংবদধ্বম। সকলে সমস্বরে এই বেদমন্ত্র গান করার পর তবে সভার কার্য (অর্থাৎ কিনা গল্পগুজব) আরম্ভ হইত। কাৰ্যবিবরণী জ্যোতিবাবুর উদভাবিত এক গুপ্তভাষায় লিখিত হইত। এই গুপ্তভাষায় “সঞ্জীবনী সভা’কে ‘হামচুপামু হাফ বলা হইত।” r —জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি, পৃ. ১৬৬-৬৭ “ভারতী’ পরিচ্ছেদে 'কবিকাহিনী কাব্য গ্ৰন্থকারে প্রকাশের প্রসঙ্গে প্রথম পাণ্ডুলিপিতে আছে : “বঙ্গসাহিত্যে সুপ্রথিতনামা শ্ৰীযুক্ত কালীপ্রসন্ন ঘোষ মহাশয় তাহার “বান্ধবী পত্রে এই ব্যক্তির লেখনী হইতে এই আমি প্রথম খ্যাতি লাভ করিয়াছিলাম। ইহার পর ভূদেববাবু এডুকেশন গেজেটে আমার প্রভাতসংগীতের সম্বন্ধে যে অনুকুল মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহাঁই বোধ করি আমার শেষ লাভ ৷ প্ৰথম হইতে সাধারণের নিকট হইতে বাহবা পাইয়া আমি যে রচনাকার্যে অগ্রসর হইয়াছি, এ কথা আমি স্বীকার করিতে পারিব না । সন্ধ্যাসংগীত প্ৰকাশের পর হইতে শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ সেন মহাশয়কে আমি উৎসাহদাতা বন্ধুরূপে পাইয়াছিলাম। ইহার সহিত নিরন্তর সাহিত্যালোচনায় আমি যথার্থ বললাভ করিয়াছিলাম- ইহারই কাপণ্যহীন উৎসাহ আমার নিজের প্রতি নিজের শ্রদ্ধাকে আশ্রয় দিয়াছিল । কিন্তু আমার রচনার আরম্ভকালে সমালোচক-সম্প্রদায় বা পাঠক-সাধারণের নিকট এ সম্বন্ধে আমি অধিক ঋণী নহি ।” -প্রথম পাণ্ডুলিপি "আমেদাবাদ’ পরিচ্ছেদে শাহিবােগ-লাইব্রেরিতে “পুরাতন সংস্কৃত কাব্যসংগ্ৰহগ্ৰন্থ।” পাঠের যে উল্লেখ রহিয়াছে (পৃ. ৪৬৮)। রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক ব্যবহৃত সেই গ্ৰন্থখানি বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারে রক্ষিত । উহার নামপত্রের নকল নিম্নে দেওয়া হইল : কাব্যসংগ্ৰহঃ । অর্থাৎ। কালিদাসাদি মহাকবিগণ। বিরচিত ত্রিপঞ্চাশৎ। উত্তম সম্পূর্ণ কাব্যানি ৷ শ্ৰীডাক্তার যোহন হেবরলিন কর্তৃক । সমাহৃত-মুদ্রাঙ্কিতানি ৷ শ্ৰীরামপুরীয় bGift:RO | Str89 | এই গ্রন্থের দুইটি পৃষ্ঠায়, সম্ভবত পরবর্তীকালে, রবীন্দ্রনাথ ‘শৃঙ্গারশতক’ ও ‘নীতিশতক হইতে দুইটি শ্লোকের বঙ্গানুবাদ করিয়াছিলেন। দ্রষ্টব্য সংস্কৃত শ্লোকদ্বয়ের বঙ্গানুবাদ, প্রবাসী,

  • FR sosy, * 888 |

এই পরিচ্ছেদে ৪৬৮ “সমস্তদিন ডিকশনারি লইয়া নানা ইংরেজি বই” পড়বার যে উল্লেখ