পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t૨૭ রবীন্দ্র-রচনাবলী মহুয়ার কয়েকটি কবিতার পরিবর্তিত সংগীতরূপ প্রথম সংস্করণ গীতবিতানের তৃতীয় খণ্ডেই ( শ্রাবণ ১৩৩৯ ) পাওয়া যায়। কবিতা গানের প্রথম পংক্তি গী. বি. পৃষ্ঠা বিজয়ী - বিরস দিন, বিরল কাজ Ե o 8 সন্ধান - অামার নয়ন তোমার নয়নতলে * @ 2 মুক্তি - চপল তব নবীন আঁখি দুটি ৭৯২ উদঘাত - জানি তোমার অজানা নাহি গো ግ፰ 8 নিবেদন - কাহার গলায় পরাবি গানের bやWう গুপ্তধন - আরো একটু বোসে তুমি レペ" পুরাতন - অনেকদিনের আমার যে-গান °\ ©ჯ) প্রত্যাশা, সন্ধান, বরণডালা, নিবেদন, নির্ভয়, গুপ্তধন, অবশেষ —মহুয়ার এই সাতটি কবিতাতেও রবীন্দ্রনাথ স্বর দিয়াছিলেন ; দ্বিতীয় সংস্করণ গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ড দ্রষ্টব্য । ১৩৩৬ সালে গ্রন্থপ্রকাশের অব্যবহিত পুর্বে মহুয়া সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ যে-পত্ৰ লিখিয়াছিলেন নিম্নে তাহ মুদ্রিত হইল : লেখার বিষয়টা ছিল সংকল্প করা— প্রধানত প্রজাপতির উদ্দেশে— আর র্তারই দালালি করেন যে-দেবতা তাকেও মনে রাখতে হয়েছিল । অতএব ‘মহুয়া’র কবিতাকে ঠিক আমার হালের কবিতা বলে শ্রেণীবদ্ধ করা চলে না। ভেবে দেখতে গেলে এটা কোনো কালবিশেষের নয়, এটা আকস্মিক। আমার সত্যিকার আধুনিক কবিতার সঙ্গে যদি এদের এক পংক্তিতে বসাও তা হলে তাদের বর্ণভেদ অত্যন্ত পরিস্ফুট হয়ে উঠবে। কিন্তু আমার সন্দেহ হচ্ছে কিছু যেন অত্যুক্তি করা হল। ফরমাশ ব্যাপারটা মোটরগাড়ির স্টার্টারের মতো । চালনাটা শুরু করে দেয় কিন্তু তার পরে মোটরটা চলে আপন মোটরিক প্রকৃতির তাপে। প্রথম ধাক্কাটা একেবারেই ভুলে যায়। মহুয়ার কবিতাগুলিও লেখবার বেগে ফরমাশের ধাক্কা নিঃসন্দেহই সম্পূর্ণ ভুলেছে— কল্পনার আস্তরিক তড়িৎ-শক্তি আপন চিরন্তনী প্রেরণায় তাদের চালিয়ে নিয়ে গেছে। প্রথম হাতল ঘোরানো হতেও পারে বাইরের থেকে, কিন্তু সঁচলত শুরু হবামাত্রই লেখবার আনন্দই সারথি হয়ে বসে। এইজন্য আমার বিশ্বাস, তোমরা এই লেখার মধ্যে নতুন কিছু পাবে, আকারে এবং প্রকারে। নতুন লেখার ঝোঁক যখন চিত্তের মধ্যে এসে