পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবাদ-চর্চা VSyr সহিত তিনি ব্রাইটনে গিয়াছিলেন বলিয়া, তৎপরিবর্তে গতকল্য অর্মন্ড স্ট্রীটে কাজ করিতে আসিয়াছিলেন’ কন্যাকে আপনি বিভাগের কর্তব্যসাধনে নিযুক্ত থাকিতে দেখিয়া রাজী সন্তোষ লাভ pfkshift:(Mat 'Rubén Miss Gertrude Payne qge forse-Tifsiteitsk, Wygkeitski's Dr. Pirie রানীকে অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন। শ্ৰীশ্ৰীমতী শুনিলেন যে, রাজকুমারী মেরী তাহার হাসপাতালের কার্যে যথেষ্ট নৈপুণ্য ও কৃতিত্ব লাভ করিতে পারিয়াছেন। যে বিভােগ তিনি দেখিতে গিয়াছিলেন তাহার নাম আলেকজান্ডা বিভাগ (রানী আলেকজান্ডার নামানুসারে ইহার নামকরণ হয়); সেখানে ছাব্বিশটি শিশু চিকিৎসাধীনে ছিল। রাজকুমারী অস্ত্ৰচিকিৎসা-মতে ক্ষতসজায় ব্যস্ত ছিলেন, তাহার মা উহার প্ৰণালীটি নিরীক্ষণ করিলেন। br এই বিশেষ বিভাগে রাজবংশীয়া শুশ্ৰষাকারিণীর ভাগে কাল ডিনার পরিবেশনের ভার পড়িয়াছিল এবং রানী তাহার এই কার্যে যোগ দিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন। প্রায় দুই বৎসর বয়সের পেলাব-আকৃতি একটি শিশুকে বাছিয়া লইয়া সাবধানে ছিন্ন-করা খাদ্যের পথ্য তাহাকে খাওয়াইয়াছিলেন। ইহার পরে এক-পদ মিষ্টাম্নের পালা ছিল, কিন্তু শ্ৰীশ্ৰীমতী উহা যথানির্দিষ্ট পরিবেশকদের হাতে দিয়া হাসিয়া বলিয়াছিলেন যে, এমন খর্বদেহ রোগীটির পক্ষে যেটুকু খাদ্য উৎকৃষ্ট এবং যথেষ্ট বলিয়া তাহার কাছে প্ৰতীয়মান হইয়াছে, তাহার উপর আরো অধিক যোগ করিবার দায়িত্ব তিনি লইতে ইচ্ছা করেন না। রাজকুমারীর সেদিনকার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত রানী অপেক্ষা করিয়াছিলেন ও পরে সেই রাজবংশীয়া শুশ্ৰষাকারিণী হাসপাতালের উদি পরিয়াই মাতার সহিত গাড়িতে করিয়া বাকিংহাম প্রাসাদে ফিরিয়া গিয়াছিলেন। ܘܶ ৩১ এ অক্টোবরে সমাপিত সপ্তাহে অল্পকয়েক স্থানে লঘুবৃষ্টিপাত হইয়াছে। সমস্ত প্রদেশে আরও অধিক বৃষ্টির আশু প্রয়োজন। কোনো কোনো জিলায় আমন ধান শুকাইতেছে বলিয়া প্রতিবেদন করা হইয়াছে। উত্তর এবং পশ্চিম বাংলায় শস্যের ভাবী অবস্থা সাধারণত আশাজনক নহে। অন্যত্ৰ ভাবী অবস্থা মাঝামাঝি রকম। রবিশস্যের ক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত করা চলিতেছে। বৃষ্টির অভাবে বীজ বপনের ব্যাঘাত ঘটিতেছে। এই প্রদেশে মোটা চালের গড়মূল্য পূর্বসপ্তাহের তুলনায় প্রায় শতকরা হারে দুই মাত্রা বাড়িয়াছে। N O আমাদের অরপোর এবং ফলের বাগানের গাছসকল তাহাদের বৃদ্ধির প্রত্যেক অবস্থায় কীটশক্ৰদের আক্রমণের বিষয়; এই কীটশক্ৰগণ বাধাপ্ৰাপ্ত না হইলে শীঘ্রই বৃক্ষসকলকে সম্পূৰ্ণ ধ্বংস করিত। আমাদের আরণ্যাবৃক্ষ এবং ছায়াতরুগুলির বিনাশে আমাদের যে কী হইত, তাহা বৰ্ণনা করার চেয়ে কল্পনা করা সহজ। কাঠ আমাদের এত প্রকার সামগ্ৰীতে লাগে যে, ইহাকে বাদ দিয়া সভ্য মানুষের কথা চিন্তা করা কঠিন। এ দিকে আমাদের ফলাবাগানের ফলসকলও যার-পর-নাই প্রয়োজনীয়। সৌভাগ্যক্রমে বৃক্ষদের কীটশত্ৰুসকলেরও নিজেদের নিতানিযুক্ত শক্ৰ যে নাই তাহা নহে; এই শক্রদের মধ্যে অনেকজাতীয় পক্ষী আছে, যাহাদের অস্ত্রসজা এবং অভ্যাসসকল কীট-আক্রমণ-ব্যাপারে তাহাদিগকে বিশেষরূপে যোগ্যতা দান করে, এবং তাঁহাদের সমস্ত জীবন এই কীটের অনুধাবনে ব্যয়িত হয়। Σ Σ আলেকজান্ডার দি গ্রেট এবং প্রাচীনকালের পূর্বদেশীয় অনেক রাজাও সিংহ পুষিতেন। ঐসকল পোষা সিংহ তাহদের প্রাসাদের মধ্যে স্বাধীনভাবে ঘুরিয়া বেড়াইত। বর্তমানকাল পর্যন্ত আবিসিনিয়ার