পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(፩ obr রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী (১) (যজ্ঞশালায় গোপনে প্রবিষ্ট লক্ষ্মণের দ্বারা আক্রান্ত নিরস্ত্ৰ ইন্দ্ৰজিৎ বিভীষণকে দ্বাররোধ করিতে দেখিয়া কহিলেন)- “হয়, তাত, উচিত কি তব এ কাজ, নিকষা সতী তোমার জননী, সহােদর রক্ষঃশ্রেষ্ঠ, শূলীশভুনিভ কুম্ভকৰ্ণ, ভ্রাতৃপুত্র রাঘববিজয়ী ? নিজগৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে? চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে ? কিন্তু নাহি গঞ্জি তোমা, গুরুজন তুমি পিতৃতুল্য। ছােড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে, লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভিঞ্জিব আহবে।” উত্তরিলা বিভীষণ,- “বৃথা। এ সাধনা, ধীমান! রাঘবদাস আমি; কি প্রকারে র্তাহার বিপক্ষ কাজ করিব, রক্ষিতে অনুরোধ ?” উত্তরিলা কাতরে রাবণি,- “ হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে। রাঘবের দাস তুমি ? কেমনে ও মুখে আনিলে এ কথা, তাত কহো তা দাসেরে। কেবা সে অধম রাম ? স্বচ্ছ সরোবরে মিত্রভাবে ?” (২) (কলিঙ্গদেশে অতিবৃষ্টি)- উত্তর পবনে মেঘ করে দুর দুব ৷ নিমেষেকে ঝাপে মেঘ গগনমণ্ডল । চারি মেঘে বরিযে মুষলধারে জল ৷ কলিঙ্গে থাকিয়া মেঘ করে ঘোর নাদ । প্ৰলয় ভাবিয়া প্ৰজা ভাবয়ে বিষাদ ৷ করিকর-সন্মান বরিযে জলধারা। জলে মহী একাকার, পথ হৈল হারা ৷ ঘন বাজধবনি চারি মেঘের গর্জন। কারো কথা শুনিতে না পায় কোনো জন ৷ পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী। সোঙরে সকল লোক জনক জননী ৷