পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামা হেসে চলে যায় জোয়ারজলে ভাসিয়ে ভেলা, দুর্লভ ধনে দুঃখের পণে লও গে জিনি, হে গরবিনী । ফাগুন যখন যাবে গে। নিয়ে ফুলের ডালা, কী দিয়ে তখন গাথবে তোমার বরণমালা । বাজবে বাশি দূরের হাওয়ায়, চোখের জলে শূন্যে চাওয়ায় কাটবে প্রহর— বাজবে বুকে বিদায়পথে চরণ-ফেলা দিনযামিনী, হে গরবিনী । শু্যামা । ধরা সে যে দেয় নাই, দেয় নাই, যারে আমি আপনারে সঁপিতে চাই— কোথা সে যে আছে সংগোপনে, প্রতিদিন শত তুচ্ছের আড়ালে আড়ালে। এসো মম সার্থক স্বপ্ন, করে মোর যৌবন সুন্দর, দক্ষিণবায়ু আনো পুষ্পবনে । ঘুচাও বিষাদের কুহেলিকা, নবপ্রাণমন্ত্রের আনো বাণী । পিপাসিত জীবনের ক্ষুব্ধ আশা অঁাধারে আঁধারে খোজে ভাষা— শূন্তে পথহারা পবনের ছন্দে, ঝরে-পড়া বকুলের গন্ধে ॥ সখীদের মৃত্যচর্চা, শেষে খামার সজ্জাসাধন, এমন সময় বজ্ৰসেন ছুটে এল। পিছনে কোটাল কোটাল। ধর ধর ঐ চোর, ঐ চোর। >ぬ>