পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগশয্যায় কী ভীষণ একা, বোব। তুমি, অন্ধ তুমি । অমুস্থ দেহের মাঝে ক্লিষ্ট রচনার ষে প্রয়াস তাই হেরিলাম আমি অনাদি আকাশে । পঙ্গু উঠিতেছে কাদি নিদ্রার অতল-মাঝে, আত্মপ্রকাশের ক্ষুধ বিগলিত লৌহগর্ত হতে গোপনে উঠিছে জ্বলি শিখায় শিখায় । অচেতন তোমার অঙ্গুলি অস্পষ্ট শিল্পের মায় বুনিয়া চলিছে ; অণদিমহীর্ণব-গর্ত হতে অকস্মাং ফুলে ফুলে উঠিতেছে প্রকাও স্বপ্নের পিণ্ড, বিকলাঙ্গ, অসম্পূর্ণ— অপেক্ষা করিছে অন্ধকারে কালের দক্ষিণহস্তে পাবে কবে পূর্ণ দেহ, বিরূপ কদৰ্য নেবে সুসংগত কলেবর নব স্বর্যালোকে । মূর্তিকার দিবে আসি মন্ত্ৰ পড়ি, ধীরে ধীরে উদঘাটিবে বিধাতার অন্তগুঢ় সংকল্পের ধার। জোড়ার্সাকে। ১৩ নভেম্বর, ১৯৪০ । প্রাতে S 6 আমার দিনের শেষ ছায়াটুকু মিশাইলে মুলতানে— গুঞ্জন তার রবে চিরদিন, ভুলে যাবে তার মানে । কর্মক্লান্ত পথিক যখন ృఠి