পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उिन नक्रौं r ه به ল্যাবরেটরি 悠 S নন্দকিশোর ছিলেন লণ্ডন য়ুনিভার্সিটি থেকে পাশ করা এঞ্জিনিয়ার। যাকে সাধুভাষায় বল৷ যেতে পারে দেদীপ্যমান ছাত্র অর্থাং ব্রিলিয়ান্ট, তিনি ছিলেন তাই। স্কুল থেকে আরম্ভ করে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার তোরণে তোরণে ছিলেন পয়লা শ্রেণীর সওয়ারী । ওঁর বুদ্ধি ছিল ফলাও, ওঁর প্রয়োজন ছিল দরাজ, কিন্তু ওঁর অর্থসম্বল ছিল আঁটেমাপের । o h রেলওয়ে কোম্পানির দুটাে বড়ো ব্রিজ তৈরি করার কাজের মধ্যে উনি ঢুকে পড়তে পেরেছিলেন। ও-কাজের আয়ব্যয়ের বাড়তি-পড়তি বিস্তর, কিন্তু দৃষ্টান্তটা সাধু নয়। এই ব্যাপারে যখন তিনি ডানহাত বাহাত দুই হাতই জোরের সঙ্গে চালনা করেছিলেন তখন তার মন খুতখুতে করে নি। এ সব কাজের দেনাপাওন নাকি কোম্পানি নামক একটা অ্যাবস্ট ক্টি সত্তার সঙ্গে জড়িত, সেইজন্যে কোনো ব্যক্তিগত লাভলোকসানের তহবিলে এর পীড়া পৌছয় না। ওঁর নিজের কাজে কর্তার। ওঁকে জীনিয়স বলত, নিখুঁত হিসাবের মাথা ছিল তার। বাঙালি বলেই তার উপযুক্ত পারিশ্রমিক র্তার জোটে নি । নীচের দরের বিলিতি কর্মচারী প্যাণ্টের দুই ভরা-পকেটে হাত গুজে যখন প ফাক করে ‘হালো মিস্টার মল্লিক' ব’লে ওঁর পিঠ-থাবড়া দিয়ে কর্তাত্বি করত তখন ওঁর ভালো লগত না । বিশেষত যখন কাজের বেল ছিলেন উনি, আর দামের বেল আর নামের বেলা ওর । এর ফল হয়েছিল এই যে, নিজের ন্যায্য প্রাপ্য টাকার একটা প্রাইভেট হিসেব গুর মনের মধ্যে ছিল, সেটা পুষিয়ে নেবার ফন্দি জানতেন ভালো করেই। পাওনা এবং অপাওনার টাকা নিয়ে নন্দকিশোর কোনোদিন বাৰুগিরি করেন নি। থাকতেন শিকদারপাড়া গলির একটা দেড়তলা বাড়িতে। কারখানাঘরের দাগদেওয়া কাপড় বদলাবার ওঁর সময় ছিল না। কেউ ঠাট্টা করলে বলতেন, মজুর মহারাজের তকমা-পরা আমার এই সাজ ।” কিন্তু বৈজ্ঞানিক সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্যে বিশেষ করে তিনি বাড়ি বানিয়েছিলেন খুব মস্ত। এমন মশগুল ছিলেন নিজের শখ নিয়ে যে, কানে উঠত না লোকেরা বলাবলি করছে, এত বড়ো ইমারতট যে আকাশ ফুড়ে উঠল— আলাদিনের প্রদীপট ছিল কোথায় । *