পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डिन नत्रौ . S3) নন্দকিশোরকে দেখিয়ে বললে, “এই তে পেয়েছি।” নন্দকিশোর হেসে বললেন, “কী গুণ দেখলে বলে দেখি ।” ও বললে, “এখানকার বড়ো বড়ে সব শেঠজি, গলায় মোট সোনার চেন, হাতে হীরার আংটি, তোমাকে ঘিরে এসেছিল—ভেবেছিল বিদেশী, বাঙালি, কারবার বোঝে না। শিকার জুটেছে ভালো। কিন্তু দেখলুম তাদের একজনেরও ফন্দি খাটল না। উলটে ওরা তোমারই ফাসকলে পড়েছে। কিন্তু তা ওরা এখনও বোঝে নি, আমি বুঝে নিয়েছি।” 曾 নন্দকিশোর চমকে গেল কথা শুনে। বুঝলে একটি চিজ বটে— সহজ নয় । মেয়েটি বললে, “আমার কথা তোমাকে বলি, তুমি শুন রাখে। আমাদের পাড়ায় একজন ডাকসাইটে জ্যোতিষী আছে। সে আমার কুষ্টি গণনা করে বলেছিল, একদিন দুনিয়ায় আমার নাম জাহির হবে বলেছিল আমার জন্মস্থানে শয়তানের দৃষ্টি আছে।” 爆 নন্দকিশোর বললে, “বল কী। শয়তানের ?” মেয়েটি বললে, “জানো তো বাবুজি, জগতে সব চেয়ে বড়ে নাম হচ্ছে ঐ শয়তানের। তাকে যে নিন্দে করে করুক, কিন্তু সে খুব খাটি। আমাদের বাবা বোমভোলানাথ ভেঁা হয়ে থাকেন। তার কর্ম নয় সংসার চালানো। দেখো-না, সরকার বাহাদুর শয়তানির জোরে দুনিয়া জিতে নিয়েছে, খৃস্টানির জোরে নয়। কিন্তু ওরা খাটি, তাই রাজ্য রক্ষা করতে পেরেছে। যেদিন কথার খেলাপ করবে, সেদিন ঐ শয়তানেরই কাছে কানমলা খেয়ে মরবে।” নন্দকিশোর আশ্চর্য হয়ে গেল । মেয়েটি বললে, “বাবু, রাগ কোরো না। তোমার মধ্যে ঐ শয়তানের মন্তর আছে। তাই তোমারই হবে জিত। অনেক পুরুষকেই আমি ভুলিয়েছি, কিন্তু আমার উপরেও টেক্কা দিতে পারে এমন পুরুষ আজ দেখলুম। আমাকে তুমি ছেড়ে না বাৰু, তা হলে তুমি ঠকবে।” 曲 নন্দকিশোর হেসে বললে, “কী করতে হবে।” “দেনার দায়ে আমার আইমার বাড়িঘর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তোমাকে সেই দেন। শোধ করে দিতে হবে ।” “কত টাকা দেন৷ তোমার ।” “সাত হাজার টাকা ।”