পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ऊिन नक्रौ Φού “এইটুকু জানলেই হবে, মেট্ৰপলিটান ব্যাঙ্কের তিনি ডাইরেক্টর। লক্ষ্মী অামার, জাছ আমার, একটা সই বই তো নয়।” বলে ডান হাত দিয়ে তার কাধ ঘিরে তার হাতটা ধরে বললে, “সই করে৷ ” 呜 সে স্বপ্নাবিষ্টের মতো সই করে দিলে । কাগজটা নিয়ে নীল। যখন মুড়ছে দরোয়ান বললে, “এ কাগজ আমাকে দেখতে হবে।” নীলা বললে, “এ তে তুমি বুঝতে পারবে না।” দরোয়ান বললে, “দরকার নেই বোঝবার।” বলে কাগজট ছিনিয়ে নিয়ে টুকরে। টুকরো করে ছিড়ে ফেললে। বললে, "দলিল বানাতে হয় বাইরে গিয়ে বানিয়ে। এখানে ময় ।” রেবতী মনে মনে ইপি ছেড়ে বঁাচল । দরোয়ান নীলাকে বললে, “মাজি, এখন । চলে। তোমাকে বাড়ি পৌছিয়ে দিয়ে আসি গে।” ব’লে তাকে নিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরে আবার ঘরে ঢুকল পাঞ্জাবী। বললে, “চার দিকে আমি দরজা বন্ধ করে রাখি, তুমি ওকে ভিতর থেকে খুলে দিয়েছ।” এ কী সন্দেহ, কী অপমান। বারবার করে বললে, “আমি খুলি নি।” “তবে ও কী করে ঘরে এল।” خي সেও তো বটে। বিজ্ঞানী তখন সন্ধান করে বেড়াতে লাগল ঘরে ঘরে। অবশেষে দেখলে রাস্তার ধারের একটা বড়ো জানল। ভিতর থেকে আগল দেওয়া ছিল, কে সেই আগলট দিনের বেলায় এক সময়ে খুলে রেখে গেছে। রেবতীর যে ধূর্ত বুদ্ধি আছে এতটা শ্রদ্ধা তার প্রতি দরোয়ানজির ছিল না। বোকা মানুষ, পড়াশুনো করে এই পর্যন্ত তার তাকত। অবশেষে কপাল চাপড়ে বললে, “আওরত ! এ শয়তানি বিধিদত্ত।” । যে অল্প-একটু রাত বাকি ছিল রেবতী নিজেকে বারবার করে বললে, চায়ের নিমন্ত্রণে যাবে না। কাক ডেকে উঠল। রেবতী চলে গেল বাড়িতে । ১২ পরের দিন সময়ের একটু ব্যতিক্রম হল না। চায়ের সভায় চারটে পয়তাল্লিশ মিনিটেই রেবতী গিয়ে হাজির। ভেবেছিল এ সভা নিভৃতে দুজনকে নিয়ে। ফ্যাশনেবল সাজ ওর দখলে নেই। পরে এসেছে জামা আর ধুতি, ধোবার বাড়ি