পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| - i. # r l o l, * , ... ', I F *, r * r h | * , | f 1 r. o " * I f * Կ |W I | o i r r f . r էր 1 1, r * h J. ' ' r I r i r - A. r l i. * * ...' 'r', i n $ х l I t - • , , , ، أبد y 鹹 i .. ! i k 1 o' i z i r i { * r t M t * * l w r, = } g I и I i o r. *}” " , " , ", , , * 1, t \ r is r l - ? * , - # = t * قم

  • | I o l

যেতে যেতে লোকসান ঘটাতে থাকে। কোনো পরমাণুর দিলে হয়তো একটা । ইলেকট্রন সরিয়ে, ক্রমে দুটাে-তিনটে গেল হয়তো তার খসেউখন ইলেকট্রনগুলো । বাধনছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু বেশিক্ষণ নয়। অন্ত পরমাণুদের সঙ্গে জোড় । বাধে। ষে-পরমাণু ইলেকট্রন হারিয়েছে তাকে লাগে পজিটিভ বৈদ্যুতের চার্জ আর যে-পরমাণু ছাড়া-ইলেকট্রনটাকে ধরেছে তার চার্জ নেগেটিভ বৈদ্যুতের। তারা যদি পরস্পরের যথেষ্ট কাছাকাছি আসে তা হলে আবার হিসেব সমান করে নেয়। অসাম্য ঘুচলে তখন বৈদ্যুতধর্মের চাঞ্চল্য শাস্ত হয়ে যায়। স্বভাবত ইলিয়ম পরমাণুর থাকে দুটাে ইলেকট্রন। কিন্তু রেডিয়ম থেকে আলফাকণারূপে নিঃস্থত হয়ে সে যখন অন্য । বস্তুর মধ্যে দিয়ে ছুটতে থাকে তখনকার মতো তার সঙ্গী দুটো যায় ছিন্ন হয়ে। অবশেষে উপদ্রবের অন্ত হলে ছুটে ইলেকট্রনদের মধ্যে থেকে অভাব পূরণ করে নিয়ে স্বধর্মে ফিরে আসে । 郸 এইখানে আর-একটা কথা বলে এই প্রসঙ্গ শেষ করে দেওয়া যাক। সকল বস্তুরই পরমাণুর ইলেকট্রন প্রোটন ও মু্যটন একই পদার্থ। তাদেরই ভাগ-বাটোয়ার নিয়ে । বস্তুর ভেদ । যে-পরমাণুর আছে মোট ছয়ট পজিটিভ চার্জ সেই হল কার্বনের অর্থাৎ আঙ্গারিক বস্তুর পরমাণু। সাতটা ইলেকট্রনওয়াল পরমাণু নাইট্রজেনের, আটটা অক্সিজেনের। কেবল হাইড্রজেন পরমাণুর আছে একটা ইলেকট্রন। আর বিরেনবাইট আছে য়ুরেনিয়মের। পরমাণুদের মধ্যে পজিটিভ চার্জের সংখ্যাভেদ নিয়েই তাদের জাতিভেদ। স্বষ্টির সমস্ত বৈচিত্র্য এই সংখ্যার ছন্দে। বৈদ্যুতসন্ধানীরা যখন আপন কাজে নিযুক্ত আছেন তখন তাদের হিসাবে গোলমাল বাধিয়ে দিয়ে অকস্মাৎ একটা অজানা শক্তির অস্তিত্ব ধরা দিল। তার বিকিরণকে নাম দেওয়া হল মহাজাগতিক রশ্মি, কসমিক রশ্মি । বলা যেতে পারে আকস্মিক রশ্মি । কোথা থেকে আসছে বোঝা গেল না কিন্তু দেখা গেল সর্বত্রই। কোনো বস্তু বা কোনো ' জীব নেই যার উপরে এর করক্ষেপ চলছে না। এমন কি ধাতুদ্রব্যের পরমাণুগুলোকে ঘ। মেরে উত্তেজিত করে দিচ্ছে। হয়তো এরা জীবের প্রাণশক্তির সাহায্য করছে, কিংবা বিনাশ করছে— কী করছে জানা নেই, আঘাত করছে এইটেই নিঃসংশয় । , এই যে ক্রমাগতই কসমিকরশ্মি-বর্ষণ চলেছে এর উৎপত্তির রহস্য অজানা রয়ে গেল। কিন্তু জানা গেছে বিপুল এর উদ্যম, সমস্ত আকাশ জুড়ে এর সঞ্চরণ, জলে স্থলে আকাশে সকল পদার্থেই এর প্রবেশ । এই মহা আগস্তুকের পিছনে বিজ্ঞানের চর লেগেই আছে, কোন দিন এর গোপন ঠিকানা ধরা পড়বে। অনেকে বলেন কসমিক আলো আলোই বটে, র্যণ্টগেন রশ্মির চেয়ে বহুগুণে