পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অীরোগ্য জীবনের বিধাতার যে দক্ষিণ্য পেয়েছি জীবনে তাহারি স্মরণলিপি রাথিলাম সকৃতজ্ঞ মনে । উদয়ন ২৮ জানুয়ারি, ১৯৪১ ৷ বিকাল \S) o ধীরে সন্ধ্য। অসে, একে একে গ্রন্থি যত যায় স্থলি প্রহরের কর্মজাল হতে । দিন দিল জলাঞ্জলি খুলি পশ্চিমের সিংহদ্বার সোনার ঐ শ্বর্য তার অন্ধকার-আপলোকের সাগরসংগমে । দুর প্রভাতের পা নে নত হয়ে নিঃশব্দে প্রণমে । চক্ষু তার মুদে আসে, এসেছে সময় গভীর ধ্যামের তলে আপনার বাহা পরিচয় করিতে মগন । নক্ষত্রের শান্তিক্ষেত্র অসীম গগন যেথ। ঢেকে রেখে দেয় দিন শ্রীর অরূপ সত্তরে, সেথায় করিতে লাভ সত্য আপনারে থেয়া দেয় রাত্রি পারাবারে । উদয়ন ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১ ৷ দুপুর צס\ ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় যাত্রার সময় বুঝি এল, বিদায়দিনের পরে আবরণ ফেলে। অপ্ৰগলভ স্থযাস্ত-আভার ; সময় যাবার শান্ত হোক, স্তব্ধ হোক, স্মরণসভার সমারোহ না রচুক শোকের সম্মোহ । বনশ্রেণী প্রস্থানের দ্বারে ধরণীর শান্তিমন্ত্র দিক মৌন পল্লবসন্তারে । নামিয়া আসুক ধীরে রাত্রির নিঃশব্দ আশীবাদ, সপ্তর্ষির জ্যোতির প্রসাদ ।