পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মদিনে চলেছে সন্ধান করিবারে নূতন প্রভাত-আলে। তমিস্রার পারে । আজি সব কথা, মনে হয়, শুধু মুখরতা । তার এসে থামিয়াছে পুরাতন সে মন্ত্রের কাছে ধ্বনিতেছে যাহ। সেই নৈঃশব্দ্যচুড়ায় সকল সংশয় তর্ক যে মেীনের গভীরে ফুরায় । লোকথ্যাতি যাহার বাতাসে ক্ষীণ হয়ে তুচ্ছ হয়ে আসে । দিনশেষে কর্মশাল ভাষা রচনার নিরুদ্ধ করিয়া দিক দ্বার । পড়ে থাক পিছে বহু আবর্জনা, বহু মিছে । বারবার মনে মনে বলিতেছি, আমি চলিলাম-— যেথা নাই নাম, যেখানে পেয়েছে লয় সকল বিশেষ পরিচয়, নাই আর আছে এক হয়ে যেথ। মিশিয়াছে, যেখানে অখণ্ড দিন অণলোহীন অন্ধকারহীন, অামার আমির ধারা মিলে যেথা যাবে ক্রমে ক্রমে পরিপূর্ণ চৈতন্তের সাগরসংগমে । এই বাহ আবরণ, জানি ন৷ তে, শেষে নানা রূপে রূপান্তরে কালশ্ৰেণতে বেড়াবে কি ভেসে । আপন স্বাতন্ত্র্য হতে নিঃসক্ত দেখিব তারে অণমি বাহিরে বহুর সাথে জড়িত অজানা তীর্থগামী । আসন্ন বর্ষের শেষ । পুরাতন আমার আপন