পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ রবীন্দ্র-রচনাবলী অদৃষ্টে যার নেইকো গয়ন গরিব হয়ে সে গরিব হয় না । চতুর্থী। বড়োমানষের বিচার তো নেই। কারেও বা তার ধরে না মনেই, কেউ বা র্তাহার মাথার ঠাকুর । প্রথমা । টাকাটা সিকেট কুমড়ো কাকুড় যা পাই সে ভালো, কে দেয় তাই বা । দ্বিতীয়া । অবিচারে দান দিলেন নাই বা । মাথা বাধা রেখে পায়ের নীচে ভরি কত সোনা পেলেম মিছে । ক্ষীরো । মা লক্ষ্মী যদি হতেন সদয় দেখিয়ে দিতেম দান কারে কয় । দ্বিতীয়া । আহা তাই হোক, লক্ষ্মীর বরে তোর ঘরে যেন টাকা নাহি ধরে । প্রথমা । ওলো থাম্ তোরা, রাখ, বকুনি— রানীর পায়ের শব্দ শুনি । চতুর্থী । ( উচ্চৈঃস্বরে ) আহা জননীর অসীম দয়া, ভগবতী যেন কমলালয় । দ্বিতীয়া । হেন নারী আর হয় নি স্থষ্টি, সবা পরে তার সমান দৃষ্টি । তায়া | আহা মরি, তারি হস্তে আসি সার্থক হল অর্থরাশি । কল্যাণীর প্রবেশ কল্যাণী । রাত হল তবু কিসের কমিটি ? ক্ষীরো । সবাই তোমারি ষশের জমিটি মই দিয়ে কষে ঘষতেছিলেন, আমি মাঝে মাঝে বীজ ছিটিয়ে বুনেছি ফসল আশ মিটিয়ে ।