পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণ। कांश्निी বৎস, তোর জীবনের প্রথম প্রভাতে পরিচয় করায়েছি তোরে বিশ্ব-সাথে, সেই আমি, আসিয়াছি ছাড়ি সর্ব লাজ তোরে দিতে আপনার পরিচয় আজ । দেবী, তব নতনেত্রকিরণসম্পাতে চিত্ত বিগলিত মোর, সূর্যকরঘাতে শৈলতুষারের মতো। তব কণ্ঠস্বর যেন পূর্বজন্ম হতে পশি কর্ণ-পর জাগাইছে অপূর্ব বেদনা। কহো মোরে জন্ম মোর বাধা আছে কী রহস্ত-ডোরে তোমা সাথে হে অপরিচিত । ধৈর্ধ ধর ওরে বৎস, ক্ষণকাল । দেব দিবাকর আগে বাক অন্তাচলে । সন্ধ্যার তিমির আস্থক নিবিড় হয়ে।— কহি তোরে বীর কুন্তী আমি । তুমি কুন্তী ! অর্জুনজননী ! অৰ্জুনজননী বটে। তাই মনে গণি দ্বেষ করিয়ো না বংস । আজো মনে পড়ে অস্ত্রপরীক্ষার দিন হস্তিনানগরে । তুমি ধীরে প্রবেশিলে তরুণকুমার রঙ্গস্থলে, নক্ষত্রখচিত পূর্বাশার প্রান্তদেশে নবোদিত অরুণের মতো । যবনিকা-অন্তরালে নারী ছিল যত তার মধ্যে বাক্যহীন কে সে অভাগিনী অতৃপ্ত স্নেহস্কুধার সহস্ৰ নাগিনী জাগায়ে জর্জর বক্ষে– কাহার নয়ন তোমার সর্বাঙ্গে দিল জাশিল্‌-চুম্বন। অৰ্জুনজননী সে বে। যবে কৃপ আলি তোমারে পিতার নাম শুধালেন হালি, S(to