পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

veyo রবীন্দ্র-রচনাবলী কাঞ্চী । ভয়ের চক্ষে সব লক্ষণই দুলক্ষণ । বিদর্ভ। অদৃষ্টপুরুষকে ভয় করি, সেখানে বীরত্ব খাটে না । পাঞ্চাল । বিদৰ্ভরাজ, আজকেকার শুভকার্যে দ্বিধা জন্মিয়ে দিয়ে না । কাঞ্চী । অদৃষ্ট যখন দৃষ্ট হবেন তখন র্তার সঙ্গে বোঝাপড়া করা যাবে। বিদৰ্ভ । তখন হয়তো সময় থাকবে না । আমার আশঙ্কা হচ্ছে, যেন একটা কাঞ্চী । ঐ যেন একটা'র কথা তুলবেন না- ওটা আমাদেরই সৃষ্টি, অথচ আমাদেরই বিনাশ করে । কলিঙ্গ । বাইরে বাজনা বাজছে নাকি । পাঞ্চাল । বাজনা বলেই বোধ হচ্ছে । কাঞ্চী । তবে আর কী, নিশ্চয়ই রানী সুদর্শনা। বিধাতা এতক্ষণ পরে আমাদের ভাগ্যফল নিয়ে আসছেন- এ তারই পায়ের শব্দ । (জন্নান্তিকে) সুবৰ্ণ, অমনতরো সংকুচিত হয়ে আবার আড়ালে আপনাকে লুকিয়ে রেখো না । তোমার হাতে আমার রাজছত্ৰ কঁপিছে যে । যোদ্ধৃবেশে ঠাকুরদার প্রবেশ क्लित्रं ।। ॐ दी ७ ! ७ 6द ! পাঞ্চাল । বিনা আহবানে প্ৰবেশ করে লোকটা কে হে । বিরাট । স্পর্ধা তো কম নয় ! কলিঙ্গরাজ, তুমি একে রোধ করো। কলিঙ্গ। আপনারা বয়োজ্যেষ্ঠ থাকতে আমার অগ্রসর হওয়া অশোভন হবে। বিদৰ্ভ | শোনা যাক-না। কী বলে । ঠাকুরদা। রাজা এসেছেন । বিদর্ভ। (সচকিত হইয়া) রাজা ! পাঞ্চাল । কোন রাজা । কোশল । কে সে । ঠাকুরদা। আপনারা সকলেই জানেন তিনি কে । তিনি এসেছেন । বিদৰ্ভ । এসেছেন ? কোশল । কী তার অভিপ্ৰায় । ঠাকুরদা । তিনি আপনাদের আহবান করেছেন । কাঞ্চী । ইস ! আহবান ! কী ভাবে আহবান করেছেন । ঠাকুরদা । তার আহবান যিনি যেভাবে গ্রহণ করতে ইচ্ছা করেন বাধা নেই- সকলপ্রকার অভ্যর্থনাই প্ৰস্তুত আছে । । * বিরাট । তুমি কে । ঠাকুরদা। আমি তীর সেনাপতিদের মধ্যে একজন । কাঞ্চী । সেনাপতি ? মিথ্যে কথা । ভয় দেখাতে এসেছ ? তুমি মনে করেছ তোমার ছদ্মবেশ আমার কাছে ধরা পড়ে নি ? তোমাকে বিলক্ষণ চিনি । তুমি আবার সেনাপতি ! / ঠাকুরদা। আপনি আমাকে ঠিক চিনেছেন। আমার মতো অক্ষম কে আছে। তবু আমাকেই আজ তিনি সেনাপতির বেশ পরিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন- বড়ো বড়ো বীরদের ঘরে বসিয়ে রেখেছেন । কাঞ্চী । আচ্ছা, উপযুক্ত সমারোহে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাব- কিন্তু উপস্থিত একটা কাজ আছে,