পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

43 রবীন্দ্র-রচনাবলী পূর্ব ধারে বৃদ্ধ বট মাথায় নিবিড় জট, ফেলিয় প্রকাও ছায় দাড়ায়ে রহস্তময় | আঁকড়ে শিকড় মুঠে প্রাচীর ফেলেছে টুটে, খোপেখাপে ঝোপেঝাপে কত না বিস্ময় ভয় । বসি শাখে পাখি ডাকে সারাদিন একতান, চারিদিক স্তব্ধ হেরি কী যেন করিত প্রাণ । মৃদ্ধ তপ্ত সমীরণ গায়েতে লাগিত এসে, সেই সমীরণস্রোতে কত কী আসিত ভেসে । কোন সমুদ্রের কাছে মায়াময় রাজ্য আছে, সেথা হতে উড়ে আসে পাখির বাঁশকের মতো কত মায়া, কত পরী, রূপকথা কত শত । আরেকটি ছোটে ঘর মনে পড়ে নদীকূলে, সম্মুখে পেয়ারাগাছ ভরে আছে ফলে ফুলে । বসিয়া ছায়াতে তারি ভুলিয়া শৈশবখেলা, জাহ্নবীপ্রবাহ-পানে চেয়ে আছি সারাবেলা । ছায়া কাপে, আলো কাপে, বুরু ঝুরু বহে বায়— ঝর ঝর মর মর পাতা ঝরে পড়ে যায় । সাধ যেত যাই ভেসে কত রাজ্যে কত দেশে, জুলায়ে দুলায়ে ঢেউ নিয়ে যাবে কত দুর— কত ছোটো ছোটো গ্রাম নূতন নূতন নাম, * *. অভ্ৰভেদী শুভ্র সৌধ, কত নব রাজপুর । কত গাছ, কত ছায়া, জটিল বটের মূল— তীরে বালুকণর পরে,