পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seb' রবীন্দ্র-রচনাবলী স্নিগ্ধ ওই দু-নয়ানে চাহিলে মুখের পানে স্বধাময়ী শাস্তি প্রাণে জাগে, ' শুনি যেন স্নেহবাণী, কোমল ও হাতখানি প্রাণের গায়েতে যেন লাগে । তোরে যেন চিনিতাম, তোর কাছে শুনিতাম কত কী কাহিনী সন্ধ্যেবেলা, যেন মনে নাই কবে কাছে বসি মোরা সবে . তোর কাছে করিতাম খেলা । অতি ধীরে তোর পাশে প্রভাতের বায়ু আসে, যেন ছোটো ভাইটির প্রায়, যেন তোর স্নেহ পেয়ে তোর মুখপানে চেয়ে আবার সে খেলাইতে যায় । | অমিয়-মাধুরী মাখি চেয়ে অাছে দুটি আঁখি, জগতের প্রাণ জুড়াইছে, ফুলের অামোদে মেতে হেলে দুলে বাতাসেতে অঁাথি হতে স্নেহ কুড়াইছে । কী যেন জান গো ভাষা, কী যেন দিতেছ। আশা, আঁখি দিয়ে পরগন উথলে, চারিদিকে ফুলগুলি কচি কচি বাহু তুলি ‘কোলে নাও, কোলে নাও বলে । কারে যেন কাছে ডাক, যেথা তুমি বসে থাক তার চারিদিকে থাক তুমি, তোমার অাপনা দিয়ে হাসিময়ী শাস্তি দিয়ে পূর্ণ কর চরাচরভূমি । তোমাতে পুরেছে বন, পূর্ণ হল সমীরণ, তোমাতে পুরেছে লতাপাত । ফুল দূরে থেকে চায় তোমার পরশ পায়, লুটায় তোমার কোলে মাথা । তোমার প্রাণের বিভা চৌদিকে দুলিছে কিবা প্রভাতের আলোক-হিল্লোলে,