পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ন্যাসী । বালিকা। সন্ন্যাসী । বালিকা । পথিক । প্রকৃতির প্রতিশোধ আশ্রয় কোথায় পাবি এ সংসারমাঝে । এ জগৎ অন্ধকার প্রকাও গহবর— আশ্রয় আশ্রয় বলে শত লক্ষ প্রাণী বিকট গ্রাসের মাঝে ধেয়ে পড়ে গিয়া বিশাল জঠরকুণ্ডে কোথা পায় লোপ। মিথ্যা রাক্ষসীরা মিলে বাধিয়াছে হাট, মধুর দুৰ্ভিক্ষরাশি রেখেছে সাজায়ে, তাই চারি দিক হতে আসিছে অতিথি যত খায় ক্ষুধা জ্বলে, বাড়ে অভিলাষ, অবশেষে সাধ যায় রাক্ষসের মতো জগৎ মুঠায় করে মুখেতে পুরিতে। । হেথা হতে চলে আয়—চলে আয় তোরা । এখানে তো সকলেই সুখে আছে পিতা । দুরেতে দাড়িয়ে আমি চেয়ে চেয়ে দেখি ! হায় হায় ইহাদের বুঝাব কেমনে । মুখ দুঃখ সে তো বাছা জগতের পীড়া । জগং জীবস্ত মৃত্যু-অনন্ত যন্ত্ৰণ ; মরণ মরিতে চায় মরিছে না তবু চিরদিন মৃত্যুরূপে রয়েছে বাচিয়া । জগৎ মৃত্যুর নদী চিরকাল ধরে পড়িছে সমুদ্রমাঝে ফুরায় না তবু— প্রতি ঢেউ, প্রতি তৃণ, প্রতি জলকণা কিছুই থাকে না, তবু সে থাকে সমান। এ বিশ্ব মহা মৃতদেহ তারি কীট তোরা o মরণেরে খেয়ে খেয়ে রয়েছিল বেঁচে, ' ছু-দণ্ড ফুরায়ে যাবে কিলিবিলি করি আবার মৃতের মাঝে রহিবি মরিয়া । কী কথা বলিছ পিতা ভয় হয় গুনে । পথে এক জন ভিক্ষুক পথিকের প্রবেশ আশ্রয় কোথায় পাব ? অাশ্রয় কোথায় ? ›ዓ®