পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালিকা । সন্ন্যাসী । বালিকা । সন্ন্যাসী । রবীন্দ্র-রচনাবলী পঞ্চম দৃশ্য গুহ্যদ্বারে না পিতা ও-সব কথা ব’লো না অামারে, শুনে ভয় করে শুধু বুঝিতে পারি নে। তবে থাক, তবে তুই কাছে আয় মোর, দেখি তোর অতি মৃদ্ধ স্পর্শ সুকোমল । আহা, তোর স্পর্শ মোর ধ্যানের মতন, সীমা হতে নিয়ে যায় অসীমের দ্বারে । এ কি মায়া ? এ কি স্বপ্ন ? এ কি মোহ ঘোর ? জগৎ কি মায়া করে ছায়া হয়ে গিয়ে করিছে প্রাণের কাছে আনস্তের ভান ? ( দূরে সরিয়া ) বালিকা,এসব কথা না শুনিবি যদি সন্ন্যাসীর কাছে তবে এলি কী আশায় ? আমি শুধু কাছে কাছে রহিব তোমার, মুখপানে চেয়ে রব বসি পদতলে । নগরের পথে যবে হইবে বাহির ওই হাত ধরে আমি যাব সাথে সাথে । পিঞ্জরের ছোটো পাখি আহা ক্ষীণ অতি, এরে কেন নিয়ে যাই অনন্তের মাঝে । ডান দিয়ে মুখ ঢেকে ভয়ে হল সারা আমার বুকের কাছে লুকাইতে চায় । আহা, তবে নেবে আয় । থাক মুখ ঢেকে । বুকের মাঝেতে তবে থাক লুকাইয়া । এ কি স্নেহ ? আমি কি রে স্নেহ করি এরে ? না না । স্নেহ কোথা মোর । কোথা দ্বেষ ঘৃণা । কাছে যদি আসে কেহ তাড়াব না তারে, দুরে যদি থাকে কেহ ডাকিব না কাছে । ( প্রকাশ্বে ) বাছ, এ আঁধারে তুই কেমনে রহিবি ? তোরা সব ছোটো ছোটো আলোকের প্রাণী ।