পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२५ · · 骏 রবীন্দ্র-রচনাবলী अवर्थभ शृश्] প্রথম দৃশুে মায়াকুমারীগণের আবির্ভাব। মায়াকুমারীগণ কুহকশক্তিপ্রভাবে মানবহৃদয়ে নানাবিধ মায়া স্বজন করে । হাসি, কান্না, মিলন, বিরহ, বাসনা, লজ্জা, প্রেমের মোহ এই সমস্ত মায়াকুমারীদের ঘটনা। একদিন নব বসস্তের রাত্রে তাহারা স্থির করিল, প্রমোদপুরের যুবক-যুবতীদের নবীন হৃদয়ে নবীন প্রেম রচনা করিয়া তাহারা মায়ার খেলা খেলিবে । विडैौश्न श्]ि নবযৌবন বিকাশে গ্রন্থের নায়ক অমর সহসা হৃদয়ের মধ্যে এক অপূর্ব আকাঙ্ক্ষা অনুভব করিতেছে। সে উদাসভাবে জগতে আপন মানসী মূর্তির অনুরূপ প্রতিমা খুজিতে বাহির হইতেছে । এদিকে শাস্তা আপন প্রাণমন অমরকেই সমর্পণ করিয়াছে । কিন্তু চিরদিন নিতান্ত নিকটে থাকাতে শাস্তার প্রতি অমরের প্রেম জন্মিতে অবসর পায় নাই। অমর শাস্তার হৃদয়ের ভাব না বুঝিয়া চলিয়া গেল । মায়াকুমারীগণ পরিহাসচ্ছলে গাহিল— কাছে আছে দেখিতে না পাও, কাহার সন্ধানে দূরে যাও ! छूडौम्न छूथ প্রমদার কুমারী-হৃদয়ে প্রেমের উন্মেষ হয় নাই । সে কেবল মনের আনন্দে হালিয়া খেলিয়া বেড়ায় । সর্থীরা ভালোবাসার কথা বলিলে সে অবিশ্বাস করিয়া উড়াইয়া দেয়। অশোক ও কুমার তাহার নিকটে আপন প্রেম ব্যক্ত করে, কিন্তু সে তাহাতে ভ্ৰক্ষেপ করে না। মায়াকুমারীগণ হাসিয়া বলিল, তোমার এ গর্ব চিরদিন থাকিবে না । প্রেমের ফঁাদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে । গরব সব হায় কখন টুটে যায়, সলিল বহে যায় নয়নে । চতুর্থ দৃশ্য অমর পৃথিবী খুজিয়া কাহারো সন্ধান পাইল না। অবশেষে প্রমদার ক্রীড়াকানলে আসিয়া দেখিল, প্রমদার প্রেমলাতে অকৃতাৰ্থ হইয়া অশোক আপন মৰ্মব্যথা পোষণ করিতেছে। অমর বলিল, যদি ভালোবালিয়া কেবল কষ্টই সার তবে