পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిషి ఆ রবীন্দ্র-রচনাবলী পড়ে মনে, সেই প্রেমপূর্ণ চক্ষু দুটি, সেই শয্যা-পরে এক সুপ্ত মহারাজ । হায় মা, নারীর প্রাণ এত কি কঠিন । দক্ষযজ্ঞে তুই যবে গিয়েছিলি সতী, । প্রতিপদে আপন হৃদয়খানি তোর আপন চরণ দুটি জড়ায়ে কাতরে বলে নি কি ফিরে যেতে পতিগৃহপানে । সেই কৈলাসের পথে আর ফিরিল না ও রাঙা চরণ । মা গো, সেদিনের কথা দেখ মনে করে । জননী, এসেছি আমি রমণী-হৃদয় বলি দিতে, রমণীর ভালোবাসা, ছিন্ন শতদল সম, দিতে পদতলে । নারী তুমি, নারীর হৃদয় জান তুমি, বল দাও জননী আমারে । থেকে থেকে ওই শুনি রাজগৃহ হতে “ফিরে এস, ফিরে এস রানী”, প্রেমপূর্ণ পুরাতন সেই কণ্ঠস্বর। খড়গ নিয়ে তুমি এস, দাড়াও রুধিয়া পথ, বলে, “তুমি যাও, রাজধর্ম উঠক জাগিয়া ধন্য হোক রাজা, প্রজা হোক স্বর্থী, রাজ্যে ফিরে আস্থক কল্যাণ, দূর হোক যত অত্যাচার, ভূপতির যশোরশ্মি হতে ঘুচে যাক কলঙ্ককালিমা । তুমি নারী ধরাপ্রাস্তে যেথা স্থান পাও— একাকিনী বসে বসে নিজ দুঃখে মরো বুক ফেটে । ” পিতৃসত্য পালনের তরে রামচন্দ্র গিয়াছেন বনে, পতিসত্য পালনের লাগি আমি যাব । যে সত্যে আছেন বাধা মহারাজ রাজ্যলক্ষ্মী কাছে— কভু তাহ সামান্ত নারীর তরে ব্যর্থ হইবে না ।