পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমারসেন । রাজা ও রানী গুষ্ক পল্লবের পরে । তরু-অস্তরালে শুনি যেন কাহাদের চুপি চুপি কথা, বিজন মন্ত্রণ। শ্রাস্ত আঁধি যদি কভু মুদে আসে, দারুণ দুঃস্বপ্ন দেখে কেঁদে জেগে উঠি । সুখমুপ্ত মুখখানি তব দেখে পুন প্রাণ পাই প্রাণে । দুর্ভাবনা দুঃস্বপ্ন-জননী । ভেবো না আমার তরে বোন। সুখে আছি । মগ্ন হয়ে জীবনের মাঝখানে, কে জেনেছে জীবনের সুখ ? মরণের তটপ্রাস্তে বসে, এ যেন গো প্রাণপণে জীবনের একান্ত সম্ভোগ । এ সংসারে যত সুখ, যত শোভা, যত প্রেম আছে, সকলি প্রগাঢ় হয়ে যেন আমারে করিছে আলিঙ্গন। জীবনের প্রতি বিন্দুটিতে যত মিষ্ট আছে, সব আমি পেতেছি আস্বাদ । ঘন বন, তুঙ্গ শৃঙ্গ, উদার আকাশ, উচ্ছসিত নিঝরিণী, আশ্চর্ষ এ শোভা । অযাচিত ভালোবাসা অরণ্যের পুষ্পবৃষ্টি-সম অবিশ্রাম হতেছে বর্ষণ । চারিদিকে ভক্ত প্ৰজাগণ। তুমি আছ প্রতিময়ী শিয়রে বসিয়া। উড়িবার আগে বুঝি জীবন-বিহঙ্গ বিচিত্র-বরন পাখা করিছে বিস্তার। ওই শোনো কাঠুরিয়া গান গায় ; শোনা যাবে রাজ্যের সংবাদ । কাঠুরিয়ার প্রবেশ ও গান বঁধু, তোমায় করব রাজা তরুতলে। বনফুলের বিনোদ-মালা দেব গলে । මෘෂික