. o o ،م ५ k (, ; h f w } * | ե «ყტ | 輸 | - 曹 限 幫 l s',', l বানা হউক একজন বাঙালি ইংলণ্ডে গেলে কিরূপে তাহার মত গঠিত ও । পরিবর্তিত হয় তাহার একটা ইতিহাস পাওয়া যায় । , , , 轉 “আমার মতে যে ভাষায় চিঠি লেখা উচিত সেই ভাষাতেই লেখা হইয়াছে। আত্মীয়স্বজনদের সহিত মুখামুখি একপ্রকার ভাষায় কথা কহা ও র্তাহারা চোখের আড়াল হইবামাত্র আর-একপ্রকার ভাষায় কথা কহ। কেমন অসংগত বলিয়া বোধ হয় । . “পূজনীয় ভারতীর সম্পাদক মহাশয় আমার পত্রের উত্তরে তাহার যে সকল অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহাও পুস্তকে নিবিষ্ট হইল। সকল বিষয়েরই দুই পক্ষ আছে। উভয় পক্ষই পাঠকদের দেখা আবশ্বক "...' এই গ্রন্থের প্রকাশ কবি পরে আর ইচ্ছা করেন নাই, এইজন্ত বহুকাল ইহা গ্রন্থাকারে প্রচারিত ছিল না । বহুকাল পরে “পাশ্চাত্য ভ্রমণ” ( আশ্বিন, ১৩৪৩ ) গ্রন্থে পরিবর্তিত রূপে ইহা যুরোপ-যাত্রীর ডায়ারির দ্বিতীয় খণ্ডের সহিত প্রকাশিত হয়। বর্তমান রচনাবলীতে পাশ্চাত্য ভ্রমণের পাঠ অনুস্থত হইয়াছে। যুরোপ-প্রবাসীর পত্র পুনঃপ্রকাশে কবির অনভিপ্রায় ও পরে স্বীকৃতির কারণ তিনি পাশ্চাত্য ভ্রমণের ভূমিকায় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করিয়াছেন, প্রথম সংস্করণের ভূমিকার প্রথম কয় ছত্রেও সে সম্বন্ধে ইঙ্গিত আছে। পাশ্চাত্য ভ্রমণের ভূমিকাটিও বর্তমান রচনাবলীতে প্রকাশিত হইল । .لی য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্রগুলি যখন ভারতীতে প্রকাশিত হয়, তখন ভারতী-সম্পাদক দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই পত্রগুলির কোনে! কোনোটিতে প্রকাশিত মস্তব্যের বিশেষ সমালোচনা করেন । রবীন্দ্রনাথ তাহার পত্র গুলিতে “ইঙ্গবঙ্গ"দের সম্বন্ধে যেমন কঠিন সমালোচনা ও ব্যঙ্গ করিয়াছিলেন, বিলাতের ধনীসমাজের মহিলাদের বিলাসিনী” শ্রেণীর সম্বন্ধে যেমন পরিহাস করিয়াছিলেন, বিদেশের তুলনায় দেশের সামাজিক রীতি ও প্রথার (বিশেষত স্ত্রী স্বাধীনতার অভাব ও গুরুজনদের সহিত ব্যবহারের প্রচলিত রীতির ) সম্বন্ধেও তেমনই বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন । ভারতীসম্পাদক দেশীয় প্রথা ও রীতির সমর্থন ও রবীন্দ্রনাথের মন্তব্যের প্রতিবাদ করিয়া টিপ্পনী প্রকাশ করেন, রবীন্দ্রনাথ পরবর্তী পত্রে তাহার উত্তর দেন। এইরূপে বাদপ্রতিবাদ চলিয়াছিল। প্রথম সংস্করণেও তাহা মুদ্রিত আছে। পাশ্চাত্য ভ্রমণে এই বাদ প্রতিবাদ সম্পূর্ণ বর্জিত হইয়াছে। প্রথম সংস্করণের ষষ্ঠ পত্রের অংশ, সপ্তম পত্র, নবম পত্র ও দশম পত্র, এবং তৎসহ ভারতী-সম্পাদকের মস্তব্যগুলিও পরিত্যক্ত হইয়াছে। অন্ত পত্রগুলিরও অনেক অংশ ৰঞ্জিত হইয়াছে।
