পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিত্রাণ >°> মহিষী । (উচ্চস্বরে ) ওরে, বামী, বামী, শিগগির দৌড়ে যা— ওরে, ওষুধ নিয়ে আয় | উদয়াদিত্যের প্রবেশ মহিষী ৷ বাবা উদয়, কী হয়েছে বাপ । উদয় । সুরমা বিদায় হয়েছে মা, এবার আমি বিদায় হতে এসেছি— আর এখানে নয় । মহিষী । ( কপালে করাঘাত করিয়া ) কী সর্বনাশ হল রে, কী সর্বনাশ হল । উদয় । ( প্রণাম করিয়া) চললুম তবে। মহিষী । ( হাত ধরিয়া ) কোথায় যাবি বাপ । আমাকে মেরে ফেলে দিয়ে যা । বিভা । ( পা জড়াইয়া) কোথায় যাবে দাদা। আমাকে কার হাতে দিয়ে যাবে। উদয় । তোকে কণর হাতে দিয়ে যাব । আমি হতভাগা ছাড়া তোর কে অাছে। ওরে বিভা, তুইই আমাকে টেনে রাখলি— নইলে এ পাপ-বাড়িতে আমি আর এক মুহূর্ত থাকতুম না । বিভা। বুক ফেটে গেল দাদা, বুক ফেটে গেল । উদয়। দুঃখ করিস নে বিভা, যে গেছে সে সুখে গেছে। এ বাড়িতে এসে সেই সোনার লক্ষ্মী এই আজ প্রথম আরাম পেল । ওখানে কিসের গোলমাল । ( বাতায়ন হইতে নীচে চাহিয়া ) প্রজারা এসেছে দেখছি। ওদের বিদায় করে দিয়ে আসি-গে । [ প্রস্থান তৃতীয় দৃশ্য নীচের আঙিনায় মাধবপুরের প্রজাদল প্রথম । ( উচ্চস্বরে ) আমরা এখানে হত্যা দিয়ে পড়ে থাকব । দ্বিতীয় । আমরা এখানে না খেয়ে মরব। প্রহরীর প্রবেশ প্রহরী। এরা সব বৈরাগী ঠাকুরের চেলা, এদের গায়ে হাত দিতে ভয় করে। কিন্তু যেরকম গোলমাল লাগিয়েছে, এখনই মহারাজের কানে যাবে— মুশকিলে পড়ব । কী বাবা, তোমরা মিছে চেঁচামেচি করছ কেন বলো তো ।