পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় o 88ఫి রবীন্দ্রনাথের ‘মাটির বাসা’ ‘শেষবেলাকার ঘরখানি'র উদ্দেশে লিখিত ‘শুমলী’ কবিতা-প্রসঙ্গে শেষ সপ্তক’-এর চুয়াল্লিশ-সংখ্যক কবিতাও ভ্রষ্টব্য। ২৫ বৈশাখ ১৩৪২ তারিখে শুমলীগৃহ-প্রবেশ উপলক্ষে শিল্পী শ্ৰীম্বরেন্দ্রনাথ করকে লিখিত কবিতাটিও ১৩৪২ জ্যৈষ্ঠের প্রবাসী হইতে এই প্রসঙ্গে উদ্ভূত করা যাইতে পারে— শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ কর কল্যাণীয়েৰু ধরণী বিদায়বেলা আজ মোরে ডাক দিল পিছু— কহিল, "একটু থাম, তোরে আমি দিতে চাই কিছু, আমার বক্ষের স্নেহ ; রাখিব একান্ত কাছে ধরে যে ক'দিন রয়েছিল হেথা, ঘিরিয়া রাখিব তোরে স্পর্শ মোর করি মূর্তিমান।” হে স্বরেন্দ্র, গুণী তুমি, তোমারে আদেশ দিল ধ্যানে তব মোর মাতৃভূমি— অপরূপ রূপ দিতে তামস্নিগ্ধ তার মমতারে অপূর্ব নৈপুণ্যবলে। আজ্ঞা তার মোর জন্মবারে সম্পূর্ণ করেছ তুমি আজি। তার বাহুর আহ্বান নি:শব্দ সৌন্দর্যে রচি আমারে করিলে তুমি দান ধরণীর দৃত হয়ে। মাটির আসনখানি ভরি রূপের যে প্রতিমারে সম্মুখে তুলিলে তুমি ধরি আমি তার উপলক্ষ ; ধরার সস্তান যারা আছে ধরার মহিমাগান করিবে সে সকলের কাছে। পচিশে বৈশাখে আমি একদিন না রহিব যবে মোর আমন্ত্রণখানি তোমার কীর্তিতে বাধা রবে, তোমার বাণীতে পাবে বাণী । সে বাণীতে রবে গাথা, ধারে বেলেছি ভালো, ভূমিরে জেনেছি মোর মাতা। শান্তিনিকেতন २८ ६दलांथं »७8२