পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পসল্প HIV কেটে দেব বাধা নামের বন্দীর শৃঙ্খল, সেই কাজেতেই লেগে গেছি আমরা কবির দল— কোনো নামেই কোনো কালে কুলোয় নাকে ধারে তাহার নামের ইশারা দেই ছন্দের ঝংকারে । আরও-সত্য দাদামশায়, সেদিন তুমি যে আরও-সত্যির কথা বলছিলে, সে কি কেবল পরীস্থানেই দেখা যায় । আমি বললুম, তা নয় গো, এ পৃথিবীতেও তার অভাব নেই। তাকিয়ে দেখলেই হয় । তবে কিনা সেই দেপার চাউনি থাকা চাই । তা, তুমি দেখতে পাও? আমার ঐ গুণটাই আছে, যা না দেখবার তাই হঠাৎ দেখে ফেলি। তুমি যখন বলে বলে ভূগোল-বিবরণ মুখস্থ কর তখন মনে পড়ে যায় আমার ভূগোল পড়া । তোমার ঐ ইয়াংলিকিয়াং নদীর কথা পড়লে চোখের সামনে যে জ্যো গ্রাফি খুলে যেত তাকে নিয়ে একৃজমিন পাশ করা চলে না। আজও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, সারি সারি উট চলেছে রেশমের বস্তা নিয়ে । একটা উটের পিঠে আমি পেয়েছিলুম জায়গা । সে কী কথা দাদামশায় । আমি জানি, তুমি কোনোদিন উটে চড় নি । ঐ দেখো দিদি, তুমি বড়ো বেশি প্রশ্ন কর । আচ্ছা, তুমি বলে যাও। তার পরে ? উট পেলে তুমি কোথা থেকে । ঐ দেখো, আবার প্রশ্ন । উট পাই বা না পাই, আমি চ'ড়ে বলি । কোনো দেশে ঘাই বা না ধাই, আমার ভ্রমণ করতে বাধে না । ওটা আমার স্বভাব । তার পরে কী হল। তার পরে কত শহর গেলেম পেরিয়ে— ফুচুং, জাংচাও, চুংকুং ; কত মরুভূমির ভিতর দিয়ে গিয়েছি রাত্তির বেলায় তারা দেখে রাস্ত চিনে চিনে । গেলুষ উস্থুল পাহাড়ের তরাষ্টয়ে । জলপাইয়ের বন দিয়ে, আঙুরের খেত দিয়ে, পাইন গাছের ছায়া দিয়ে। পড়েছিলুম ভাকাতের হাতে, সাদা ভালুক সামনে দাড়িয়েছিল দুই খাৰা তুলে । ॐ ७१२