রবীন্দ্র-রচনাবলী سین) আমার মধ্যে বেশি পাবেন না। যা ছিল সব পাস করতে করতে য়ুনিভার্সিটির স্বাস্তাকুড়ে ভর্তি করে দিয়েছি। হৈমবতী। কী বলছ ভাই, পুপদিদি ! কোন ভূতে আবার তোমাকে পেল । পুষ্প । কী জানি ভাই, দেশের হাওয়ায় এটা ঘটায়। বুদ্ধিতে কাপন দিয়ে হঠাৎ আসে যেন ম্যালেরিয়ার গুরুগুরুনি । মনে হচ্ছে, রবি ঠাকুরের একটা গান শুনেছিলুম— গেরুয়া ফাদ পাতা ভূবনে, ч. কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে ! ফকির । পুপদি, তুমি যে এতদূর এগিয়েছ তা আমি জানতুম না। পূর্বজন্মের কর্মফল আর কি ! - পুষ্প। নিশ্চয়ই, অনেক জন্মের অবুদ্ধিকে দম দিতে দিতে এমন অদ্ভুত বুদ্ধি হঠাৎ পাক খেয়ে ওঠে— তার পরে আর রক্ষে নেই । ফকির । উঃ, আশ্চর্য! ধন্ত তুমি ! সংসারে কেউ কেউ থাকে যারা একেবারেই— কী বলব ! পুপ। একেবারে শেষের দিক থেকেই শুরু করে । রবি ঠাকুর বলেছেন— যখনি জাগিলে বিশ্বে পূর্ণপ্রস্ফুটিত ফকির । বা বা, বেশ বলেছেন রবি ঠাকুর— আমি তো কখনো পড়ি নি । পুষ্প । ভালো করেছ, পড়লে বিপদেই পড়তে। ভাই হৈমি, তোর সেই মটরদানার দুনলী হারটা আমাকে দে দেখি। মহাপুরুষদের দর্শনে খালি হাতে যেতে নেই । R হৈম । কী বল, দিদি ! ও যে আমার শাশুড়ির দেওয়া ! পুষ্প । এ মানুষটিও তো তোর শাশুড়ির দেওয়া, এও যেখানে তলিয়েছে ওটাও সেখানে যাবে নাহয় । ফকির। অবোধ নারী, আসক্তি ত্যাগ করে, গুরুচরণে নিবেদন করে যা কিছু আছে তোমার । পুষ্প। হৈমি, বিশ্বাস করে দাও আমার হাতে, লোকসান হবে না। ফকির। আহা, বিশ্বাস— বিশ্বাসই সব ! আমার ছোটো ছেলেটার নাম মেৰ— অমূল্যধন বিশ্বাস । পুপ। হৈমি, ভয় নেই, আমার সাধন হারাধন ফেরানো। গুরুত্বপায় সিদ্ধিলাভ হবে ।
