পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোর &8S নিজের মুখদুঃখ নাই। সে ভারতবর্ষের ব্রাহ্মণ, ভারতবর্ষের হইয়া দেবতার আরাধনা তাহাকে করিতে হইবে, ভারতবর্ষের হইয়া তপস্তা তাহারই কাজ । আসক্তি-অনুরক্তি তাহার নহে । গোরা মনে মনে কহিল, ‘বিধাতা আসক্তির রূপটা আমার কাছে স্পষ্ট করিয়া দেখাইয়া দিলেন— দেখাইলেন তাহা শুভ্ৰ নহে, শাস্ত নহে, তাহা মদের মতো রক্তবর্ণ ও মদের মতো তীব্র ; তাহা বুদ্ধিকে স্থির থাকিতে দেয় না, তাহা এককে আর করিয়া দেখায় ; আমি সন্ন্যাসী, আমার সাধনার মধ্যে তাহার স্থান নাই।’ Գo অনেক দিন পীড়নের পর এ কয়েক দিন আনন্দময়ীর কাছে স্বচরিতা যেমন আরাম পাইল এমন লে কোনোদিন পায় নাই । আনন্দময়ী এমনি সহজে তাহাকে এত কাছে টানিয়া লইয়াছেন যে, কোনোদিন যে তিনি তাহার অপরিচিত বা দূর ছিলেন তাহা স্বচরিতা মনেও করিতে পারে না । তিনি কেমন এক রকম করিয়া স্বচরিতার সমস্ত মনটা যেন বুঝিয়া লইয়াছেন এবং কোনো কথা না কহিয়াও তিনি স্বচরিতাকে যেন একটা গভীর সাত্বনা দান করিতেছেন । মা শব্দটাকে স্বচরিতা তাহার সমস্ত হৃদয় দিয়া এমন করিয়া আর কখনো উচ্চারণ করে নাই । কোনো প্রয়োজন না থাকিলেও সে আনন্দময়ীকে কেবলমাত্র মা বলিয়া ডাকিয়া লইবার জন্ত নানা উপলক্ষ্য স্বজন করিয়া তাহাকে ডাকিত । ললিতার বিবাহের সমস্ত কর্ম যখন সম্পন্ন হইয়া গেল তখন ক্লাস্তদেহে বিছানায় শুইয়া পড়িয়া তাহার কেবল এই কথাই মনে আসিতে লাগিল— এইবার আনন্দময়ীকে ছাড়িয়া সে কেমন করিয়া চলিয়া যাইবে । সে আপনা-আপনি বলিতে লাগিল— মা, মা, মা ! বলিতে বলিতে তাহার হৃদয় স্ফীত হইয়া উঠিয়া দুই চক্ষু দিয়া অশ্র ঝরিতে লাগিল। এমন সময় হঠাৎ দেখিল, আনন্দময়ী তাছার মশারি উদ্‌ঘাটন করিয়া বিছানার মধ্যে প্রবেশ করিলেন । তিনি তাহার গায়ে হাত বুলাইয়া কছিলেন, “আমাকে ডাকছিলে কি ?” তখন স্বচরিতার চেতনা হইল, সে মা মা’ বলিতেছিল । স্বচরিতা কোনো উত্তর করিতে পারিল না, আনন্দময়ীর কোলে মুখ চাপিয়া কাদিতে লাগিল। আনন্দময়ী কোনো কথা না বলিয়া ধীরে ধীরে তাহার গায়ে হাত বুলাইয়া দিতে লাগিলেন। সে রাত্রে তিনি তাহার কাছেই শয়ন করিলেন । दिनदग्नग्न दियांइ इहेब याहे८डझे उर्थमझे जांनमयघ्नौ विनां★ लहे८उ श्रांब्रिट्लन मां । তিনি বলিলেন, "ইহারা দুই জনেই আনাড়ি, ইহানের ঘরকন্না একটুখানি গুছাইয়া না দিয়া আমি যাই কেমন করিয়া ?