পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য ৬৬৩ ব্ৰজপুরে ঘর-বসতি মোর । ভাও ভেঙে ননি খেয়ে পলায়েছে চোর ॥ চোর ধরিতে এই সভাতে আসছে অভাগিনী । কেমন রাজা বিচার করে জানব তা এখনি ॥ বৃন্দা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের রাজসম্মান রক্ষা করিয়া ঠিক দস্তুরমত কথাগুলি বলিল, অন্তত কবির রিপোর্ট, দৃষ্টে তাহাই বোধ হয় । তবে উহার মধ্যে কিছু স্পর্ধাও ছিল ; বৃন্দা মথুরার উপরে আপন বৃন্দাবনের দেমাক ফলাইতে ছাড়ে নাই । হাজির না হয় যদি জানতে পাবে পাছে’ এ কথাটা খুব চড়া কথা ; শুনিয়া সভাস্থ সকলে নিঃশব্দ হইয়া গেল। মথুরার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায় কহিলেন— ব্রজে ছিলে বৃন্দা দাসী বুঝি অনুমানে । কোনদিন বা দেখাসাক্ষাৎ ছিল বৃন্দাবনে ॥ তখন বৃন্দা কচ্ছেন, কী জানি তা হবে কদাচিৎ ৷ বিষয় পেলে অনেক ভোলে মহতের রীত ॥ কৃষ্ণ বৃন্দাবনের কুশলসংবাদ জিজ্ঞাসা করিলে বৃন্দা কহিলেন— হাতে ননি ডাকছে রানী গোপাল কোথা রয় । ধেনু বংস আদি তব তৃণ নাহি খায় ॥ শতদল ভাসতেছে সেই সমুদ্রমাঝে । কোন ছার ধুতুরা পেয়ে এত ভঙ্কা বাজে । মথুরার রাজত্বকে বৃন্দা ধুতুরার সহিত তুলনা করিল ; তাহাতে মত্ততা আছে, কিন্তু বৃন্দাবনের সৌন্দর্য ও স্বগন্ধ কোথায় ? বলা বাহুল্য ইহার পর বৃন্দার দৌত্য ব্যর্থ হয় নাই – দূতী কৃষ্ণ লয়ে বিদায় হয়ে ব্ৰজপুরে এল । পশুপক্ষী আদি যত পরিত্রাণ পেল । ব্রজের ধন্ত লতা তমালপাতা ধন্ত বৃন্দাবন । ধন্য ধন্ত রাধাকৃষ্ণের যুগলমিলন । বাংলার গ্রাম্যছড়ায় হরগৌরী এবং রাধাকৃষ্ণের কথা ছাড়া সীতারাম ও রামরাবণের কথাও পাওয়া যায়, কিন্তু তাহা তুলনায় স্বল্প। এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে, পশ্চিমে, যেখানে রামায়ণকথাই সাধারণের মধ্যে ৰহুলপরিমাণে প্রচলিত &»!8è 疇