পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@公心 রবীন্দ্র-রচনাবলী ওদের কী যে সব বাজে গান! বলতাম। আমিই বুঝতে পারছি না। এর মর্ম, ওদের গানের ইডিয়ম জানি নে বলে শিখি নি বলে। অর্থাৎ, ওদের গানে প্রথম-প্ৰথম আনন্দ না পেলেও এমন অশ্রদ্ধার কথা কোনোদিন বলি নি যে, আনন্দ পাওয়াটা ওদের অন্যায়। ‘এইখানেই আসে শ্রদ্ধার কথা ; তুমি যাকে বলছি সাড়ার বৃত্ত তা পুরে ওঠে এই শ্রদ্ধা থাকলে তবেই। কিন্তু, এ-সব সময়ে সাড়া না পাওয়াটা স্রষ্টার কাছে যতখানি দূৰ্ভাগ্য তার দাশগুণ দুর্ভাগ্য তাদের- যারা সাড়া দিতে পারল না। আক্ষেপ হয়। সত্যিই তাদের কথা ভেবে। কারণ, স্রষ্টা যখন সত্য সৃষ্টি করলেন তখন গ্রহীতারা সবাই মুখ ফেরালেও তীর আনন্দের তো মার নেই, তিনি তো পেলেন সৃষ্টির আলো আকাশ বাতাস আনন্দ। কিন্তু যে দুৰ্ভাগা এ আলোয় এ হাওয়ায় এ আনন্দে সাড়া দিতে পারল না, কিছুই পেল না, তার চেয়ে শোচনীয় অবস্থা আর কার বলে।...' একদিকে... individual... আর একদিকে universal... কিন্তু ওয়াগনার ও বেটোভেনের মতো বিপুল মানবসমাজের বিচিত্ৰ সুখদুঃখের ঘাতপ্রতিঘাত একটা বিরাট ছন্দে এর মধ্যে ধ্বনিত হয়ে ওঠে না। যুরোপের সংগীত একলার আনন্দের কিংবা বেদনার জিনিস নয়, বিজ্ঞানের সামগ্ৰী একেবারেই হতে পারে না, সে individual নয়, সে human.fতার বৈচিত্র্য ও বিপুলতা একেবারে আমাদের অভিভূত করে ফেলে।... কেমন করে দুইয়ের সামঞ্জস্য বিধান করা যেতে পারে। [ায়ুরোপীয়ে ও ভারতীয়ে], এ এক কঠিন সমস্যা। --বিপিনবিহারী গুপ্ত “শান্তিনিকেতনে এক রাত্ৰি", "भानगैी ७ प्रभूगर्भी', 'रुद्ध १७२७ १ ७४७ ছিন্নপত্রাবলী ইন্দিরা দেবীকে লিখিত कलकाटा । शून् brvs ভৈরবী সুরের মোচড় গুলো কানে এলে জগতের প্রতি এক রকম বিচিত্ৰ ভাবের উদয় হয়. মনে হয় একটা নিয়মের হস্ত অবিশ্রাম আগিান যন্ত্রের হাতা ঘোরাচ্ছে এবং সেই ঘর্ষণবেদনায় সমস্ত বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মর্মস্থল হতে একটা গভীর কাতর করুণ রাগিণী উচ্ছসিত হয়ে উঠছে- সকাল বেলাকার সূর্যের সমস্ত আলো মান হয়ে এসেছে, গাছপালারা নিস্তব্ধ হয়ে কী যেন শুনছে এবং আকাশ একটা বিশ্বব্যাপী অশ্রদ্ধর বাপে যেন আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে- অর্থাৎ, দূর আকাশের দিকে চাইলে মনে হয় যেন একটা অনিমেষ নীল চোখ কেবল ছলছল করে চেয়ে আছে। পতিসর । ১৮ জানুয়ারি ১৮৯১ ভারতবর্ষের যেমন বাধাহীন পরিষ্কার আকাশ, বহুদূরবিস্তৃত সমতলভূমি আছে, এমন য়ুরোপের কোথাও আছে কি না সন্দেহ। এইজন্যে আমাদের জাতি যেন বৃহৎ পৃথিবীর সেই অসীম ঔদাসী আবিষ্কার করতে পেরেছে। এইজন্যে আমাদের পূরবীতে কিংবা টােড়িতে সমস্ত বিশাল জগতের