পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OOR রবীন্দ্র-রচনাবলী কোনো কোনো বিবাহিত সন্ত্ৰীক দেখা করিতে আইলে উভয় নামের একটি কার্ড ব্যবহার 3-Gjot; (raja Mr. & Mrs. Stewart Austin i ofricss rrjse ty vrco Riceri অনেক সময়ে কার্ড পাঠাইয়া সেই সংবাদ দেন; সেই কার্ডে মৃত ব্যক্তির নাম, বয়স, জন্মস্থান, বাসস্থান ও কবরস্থান লিখিত থাকে। বিদায় লইবার কার্ডের এক কোণে P.P.C. (pour prendre congé) voor P.D.A. (pour dire adieu) do Virofèrst Cossos otto বিদেশ হইতে নবাগত ব্যক্তি যদি তোমার বন্ধুর পরিচয়-পত্ৰ (Letter of introduction) তোমার কাছে পাঠাইয়া দেয়, তবে তাহার পরদিন গিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়ো। দেখা করিয়া তাহার পরেই তাহাকে ভোজনের নিমন্ত্রণ করবে। যদি তেমন ক্ষমতা না থাকে, তবে তাহাকে লইয়া সংগীতালয় পশুশালা প্রভৃতি দেশে যাহা-কিছু দেখিবার স্থান আছে লইয়া যাইয়ো। কিছু লিখিবার আবশ্যক নাই। চরিত্রের বিষয় কিছু না বলিলেও বুঝায় যে, যাহাকে তুমি তোমার বন্ধুর সহিত পরিচিত করিতে চাও, তাহাকে অবশ্য তোমার বন্ধুর পরিচয়ের যোগ্য মনে করিতেছ। শুদ্ধ এই লিখিলেই যথেষ্ট যে- “অমুক ব্যক্তি তোমার বন্ধু হইলেন, ভরসা করি स्राब्रटी জ্যৈষ্ঠ ১২৮৫ নিন্দা-তত্ত্ব নিন্দা কাকে বলে জিজ্ঞাসা করলেই লোকে বলে, পরের নামে দোষারোপ করাকে নিন্দা বলে। লোকে তাই বলে বটে, কিন্তু লোকে তাই মনে করে না। কে এমন আছে বলো দেখি যে, সে তার জীবনের প্রতিদিনই পরের নামে দোষারোপ না করে? পর যত দিন দোষ করতে ক্ষান্ত না হবে, তত দিন দোষারোপের মুখ বন্ধ হবে না। যে হিসেবে সকল মানুষই স্বার্থপর, সে হিসেবে দেখো, দেখবে, যে খনিতে জন্মেছে তার গায়ে তার মাটি লেগে থাকবেই থাকবে। স্বাৰ্থ যখন স্বার্থপরতার সাধারণ সীমা ছাপিয়ে ওঠে, তখনই আমরা তাকে স্বার্থপরতা বলি। নিন্দাও ঠিক তাই। যদি বল যে, মিথা দোষারোপ করাকেই নিন্দা বলে, তা হলে নিন্দার অর্থ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। মিথ্যা নিন্দা নিন্দার একটা অংশ মাত্র। কে না জানে, এমন অনেক সময় আসে, যখন পরনিন্দা শোনবার কষ্ট আমাদের নীরবে ধৈৰ্য ধরে সহ্য করতে হয়, কেননা আমাদের কোনো কথা বলবার থাকে না, নিন্দুক ব্যক্তি প্ৰতি মুহুর্তে বলছে ‘সত্য কথা বলছি, তার আর কী|” কিন্তু সে সহস্ৰ সত্য কথা বলুক-না কেন, তবুও নিন্দুক বলে তার উপর কেমন এক প্রকার ঘূণা জন্মে। কিন্তু কেন? সত্যি কথা বলছে, তবু কেন তাকে নিন্দুক বল ? তার একটা কারণ আছে। সত্য প্ৰশংসা করা মাত্রকেই খোেশামোদ বলে না। যখন কারও সদগুণ দেখে আমাদের উচ্ছসিত হৃদয় থেকে প্ৰশংসা বেরোয় তখন, অবিশ্যি তাকে কেউ খোেশামোদ বলে না। কিন্তু যখন তুমি তোমার নিজের স্বাৰ্থ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রশংসা কর, সে প্রশংসা সত্য হলেও তাকে খোেশামোদ বলে। নিন্দার সম্বন্ধেও ঠিক এই কথাগুলি খাটে। তুমি একজনের কুকাৰ্য দেখে ঘূণায় অভিভূত হয়ে যদি বজ্ৰকণ্ঠে তার বিরুদ্ধে তোমার স্বর উত্থাপন কর, তা হলে নিন্দিত ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ তোমাকে নিন্দুক বলবে না। কিন্তু যখন দেখছি নিন্দা করতে আমোদ পােচ্ছ বলে তুমি