পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tEO व्रो-ब्रष्नादी যে একটু কৌতুক-কৌশল আছে তাহা বালকবালিকাদের বোধগম্য হইবে না। গ্ৰন্থ দুইখানি বিদ্যালয়ে প্রচলিত হইবার উপযোগী হইয়াছে কেবল আশা করি দ্বিতীয় সংস্করণে ভুরি পরিমাণ ছাপাের ভুল সংশোধিত হইবে। ন্যায় দর্শন। গৌতমসূত্র, নূতন টীকা, বঙ্গভাষায় বিস্তুত ব্যাখ্যা।” এতৎশীর্ষক পুস্তক প্রাপ্ত হইয়া আমরা যার পর নাই আনন্দিত ও উৎসাহিত হইয়াছি। কেননা, এ যাবৎ বাংলা ভাষায় গীেতমের ন্যায় অনুবাদিত হয় নাই এবং উহার নূতন টীকাও এ পর্যন্ত কেহ করেন নাই। ভরসা করি, এই পুস্তক প্রচারিত হইলে সাহিত্য সংসারের বিশেষ উপকার সাধিত হইবে। امه অনেক বঙ্গীয় পাঠক (ব্যাহারা সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ বুৎপন্ন নহেন) গীেতমের ন্যায় কিরূপ তাহা জানিবার জন্য ইচ্ছক আছেন, এই পুস্তকের দ্বারা তাঁহাদের সে ইচ্ছা বহু পরিমাণে পূর্ণ হওয়া সুসম্ভব। গৌতমের সূত্রনিচয় আমাদের সমালোচ্য নহে। নূতন টীকা ও তাহার বাংলা ভাষার ব্যাখ্যা সমালোচ্য হইলেও ন্যায় বিষয়ে অল্পাধিকার থাকায় আমরা ওই দুই অংশের যথোচিত সমালোচনা অর্থাৎ গুণদোষ বিচার করিতে অক্ষম। তবে পুস্তক পাঠে যাহা বোধগম্য হইয়াছে তাহা সাধারণ সমক্ষে ব্যক্ত করা দোষাবহ নহে বিবেচনায় ওই দুই বিষয়ে অল্প কিছু বলিলাম। . কোনো গভীর বিষয় সংক্ষেপে লিখিতে গেলে যে দোষের সম্ভাবনা থাকে। সে দোষ ব্যতীত অন্য কোনো দোষ প্রাপ্ত ন্যায়দর্শনের নূতন টীকায় লক্ষিত হইল না। নূতন টীকার ভাষাটি বিশেষ সুখবোধ্য হইয়াছে। বাংলা ব্যাখ্যাও বিশেষ মনোরম ও নির্দোষ হইয়াছে। প্রাচীন টীকাকারেরা । যে রীতিতে শব্দ বিন্যাস করিতেন, ন্যায়দর্শনের টীকা যেরূপ হওয়া উচিত, সেরাপ না হইলেও } সাধারণত এই বলা যাইতে পারে যে, নূতন টীকাটি মন্দ হয় নাই। কেননা, কোথাও পদার্থের । বৈপরীত্য ঘটনা হয় নাই। চতুরস্রা বুদ্ধির অথবা বহুদর্শনের অভাবে যে-সকল গুণের অভাব হইয়াছে, তাহার একটি এই-- টীকালেখক প্রথম সূত্রর টীকায় “প্ৰমাণপ্ৰমেয়াদীনাং ষোড়শ পদার্থনাং তত্ত্বজ্ঞানাৎ অসাধারণাধৰ্ম্মপ্রকারেণ্যাবধারণাৎ নিঃশ্রেয়সাবিগমঃ মোক্ষাপ্ৰাপ্তির্ভবতীত্যৰ্থঃ” এই মাত্র লিখিয়াছেন। এই স্থানে অন্তত এরূপ একটা কথা লেখা উচিত ছিল যে, বস্তুতত্ত্ব আত্মতত্ত্বজ্ঞানাদেব মোক্ষঃ। কেননা, আত্মাতিরিক্ত প্ৰমেয়ের জ্ঞানে মোক্ষ হয় না, এ কথা বোধ হয় সকল লোকেই জানে। দেখুন। উক্ত সূত্রের প্রাচীন ব্যাখ্যায় কেমন সুসামঞ্জস কথা আছে। “যদি পুনঃ প্রমাণাদিপদার্থতত্ত্বজ্ঞানাৎ নিঃশ্ৰেয়সংস্যাৎ ন মোক্ষ্যমাণ মোক্ষায় ঘটেরন। নাহি কস্যচিৎ কচিচ্চ তত্ত্বজ্ঞানং নান্তীতি। তস্মাৎ আত্মাদ্যোব প্রমেয়ং মুমুকুশা জ্ঞেয়ম ইতি।”-বাৰ্ত্তিক। ভাষ্যকার বাৎস্যায়ন অতি সামঞ্জস্যরাপে। ওই কথার সংগীতাৰ্থ প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। যথা“তদিদং তত্ত্বজ্ঞানং নিঃশ্ৰেয়সাৰ্থং যথাবিদ্যং বেদিত বাম। ইহা তু অধ্যায় বিখ্যায়াং আত্মাদি তত্ত্বজ্ঞানাৎ নিঃশ্রেয়সাধিগমঃ অপবৰ্গঃ।” বাৰ্ত্তিককার ঐ ভায্যের আরও অধিক বিশদ ব্যাখ্যা করিয়াছেন যথা“সর্বসু বিদ্যাসু তত্ত্বজ্ঞানমস্তি নিঃশ্ৰেয়সাধিগমশেচতি। ত্ৰিয্যাং তাবৎ কিং তত্ত্বজ্ঞানং কাশষ্ট নিঃশ্ৰেয়সাধিগম ইতি ? তত্ত্বজ্ঞানং তাবৎ অগ্নিহােত্ৰাদিসাধনা নাঃ সাধ্যত্বাদিপরিজ্ঞানঃ অনুপহতত্ত্বদিপরিজ্ঞানঞ্চ । নিঃশ্ৰেয়সাধিগমোপি স্বৰ্গপ্ৰাপ্তি। তথাহিত্র। স্বৰ্গফলং শ্ৰীয়তে। অৰ্থ বাৰ্ত্তীয়াং কিং তত্ত্বজ্ঞানং কশ্চ নিঃশ্ৰেয়সাধিগম ইতি ? ভূম্যাদিপরিজ্ঞানং তত্ত্বজ্ঞানং কৃষ্যাদ্যধিগমণ্ট ১. সুশিক্ষিত সুবিখ্যাত জমিদার শ্ৰীযুক্ত রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী এম,এ,বি, এল, মহাশয়ের বিশেষ সাহায্যে ও উদ্যোগে শ্ৰীকালীপ্রসন্ন ভাদুড়ির দ্বারা বরাহনগরে প্রকাশিত। '