পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VegNe ब्रदीक्ष-द्रष्5नांवी ঐতিহাসিক প্রমাণ ব্যতীত এ সম্বন্ধে কথা চূড়ান্ত হইতে পারে না। অতএব ত্ৰিবেদী মহাশয় যে পথে চিন্তা প্রয়োগ করিয়াছেন সেই পথে গবেষণারও প্রেরণ আবশ্যক। “একনিষ্ঠ বিবাহ প্ৰবন্ধটি সংক্ষিপ্ত তথ্যপূর্ণ সুপাঠ্য। মহারাজ রামকৃষ্ণ' পাঠকদের বহুআশাউদ্দীপক একটি প্রবন্ধের প্রথম পরিচ্ছেদ। লেখক শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্র লিখিতেছেন ইংরাজেরা যখন দেওয়ানি সনন্দ লাভ করেন, তখন জমিদারিদল পদগীেরবে ও শাসনক্ষমতায় সর্বত্র গীেরবান্বিত হইয়াছিলেন। মহারাজ রামকৃষ্ণ ও তাঁহার সমসাময়িক জমিদারদিগের সময়ে সেই পদগীেরব ধূলিপটলের ন্যায় উড়িয়া গিয়াছে। সেকালের জমিদারগণ কী কৌশলে একালের উপাধিব্যাধিপীড়িত ক্ৰীড়াপুত্তলে পরিণত হইয়াছিলেন, মহারাজ রামকৃষ্ণের জীবনকাহিনী কিয়ৎপরিমাণে তাহার রহস্যোদঘাটন করিতে সক্ষম।” প্ৰদীপ। শ্রাবণ ১৩০৫] ‘জীবজাতি নির্বাচন’ প্ৰবন্ধটি সরল অথচ গভীর এবং চিন্তা,উদ্রেককারী। জাতি নির্বাচন যে কত কঠিন তাঁহাই প্ৰমাণপূর্বক সেই সোপান বাহিয়া লেখক শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় অভিব্যক্তিবাদের সীমায় আসিয়া উপনীত হইয়াছেন। এই সংখ্যায় ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের সচিত্র জীবনচরিতের প্রথম অংশ পাঠ করিয়া সুখী হইলাম। অঞ্জলি। আষাঢ় ১৩০৫] বিণিক বন্ধু' নামক প্রবন্ধে পণ্য ও বণিক শব্দের উৎপত্তি সম্বন্ধীয় আলোচনা উদধূত করিবার লোভ সংবরণ করিতে পারিলাম না। সংস্কৃত পণ ধানু হইতে বণিজ শব্দ সিদ্ধ করা হইয়াছে। বৈয়াকরণেরা বাণ ধাতু না করিয়া পণধাতু কেন করিলেন উহার তত্ত্ব এক রহস্যময় ব্যাপার। পুরাকালে রোমানেরা ফিনিসিয়ানদিগকে পুণিক বলিত। পুণিকেরা অতিবৈয়াকরণ যুগে ভারতবর্ষে ব্যাবসা-বাণিজ্য করিত। ভারতবাসীরা পুণিকদিগকে পণিক বলিত। পণিক সাধিবার জন্য পণ ধাতুর সৃষ্টি হইল। উত্তর কালে (আভিধানিক কালে) পাণ ধাতুর চিহ্ন পণ্য রাখিয়া পণিকদের মাহাত্ম্য বিলোপ হওয়াতে পণিাকনামও সংস্কৃত অভিধান হইতে বিদায় গ্রহণ করিল। পণিকদের পরে- সুদীর্ঘকাল পরে ভেনিজিয়া বা বাণিজগণ ভারতে আগমন করে। তখন বৈয়াকরণিক ঋবিযুগ অতীত হইয়াছে। সংস্কৃতের আইনকানুন হইয়াছে, সংস্কৃত পিঞ্জরাবদ্ধ বিহঙ্গী, কাজেই পরবতীরা অনন্যেপায় হইয়া নবাগত বিজাতীয় শব্দগুলিকে নিপাতনের হাত ছোঁয়াইয়া শুদ্ধ করিয়া লইলেন। বণিজ শব্দও সেইরূপ শোধিত ও পণ ধাতুর পোষ্যপুত্ৰ হইল। এই ভেনিস বা বণিজদের অতি আদরের সামগ্ৰী বলিয়া-নীল বণিকবন্ধু আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিল।” ভারতী 9 Seog সাহিত্য। জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় ১৩০৫] সংখ্যা একত্রে হস্তগত হইল। ‘জ্যৈষ্ঠের সাহিত্যে ‘মোহনলাল” প্রবন্ধে শ্ৰীযুক্ত কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় অক্ষয়বাবু ও নিখিলবাবুর প্রতিবাদ করিয়া যে তর্ক তুলিয়াছেন তাহার মীমাংসা আমাদের আয়ত্ততীত। লেখাটি ভাষার সরস সুস্পষ্টতা ও প্রমাণ সংগ্রহ এবং বাঙালি পাঠকের বিশেষ আগ্ৰহজনক কয়েকটি নূতন তথ্যের জন্য বিশেষ উপাদেয় হইয়াছে। ‘সেকালের কলিকাতা গেজেট’ সুপাঠ্য কীেতুকাবহ প্ৰবন্ধ। আষাঢ়ে নিখিলবাবুর মীরণের পরিণাম রহস্য’ রহস্যপূর্ণ উপন্যাসের ন্যায় ঔৎসুক্যজনক। সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা। শ্ৰীনগেন্দ্ৰ নাথ বসু কর্তৃক সম্পাদিত। বর্তমান সম্পাদকের হন্তে আসিয়া অবধি এই পত্রিকা আশাতীত গীেরব লাভ করিয়াছে। এখন