পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vos SV). রবীন্দ্র-রচনাবলী দেশীয় ও বিদেশী বহু ঐতিহাসিক ইতিহাসের সন ও তারিখ লইয়া সমকালে যে বিচিত্র গবেষণা প্ৰকাশ করিতেছিলেন, ইহার মধ্যে তীহাদের ব্যঙ্গ করা হইয়াছে। ইতিপূর্বে পুলিনবিহারী সেন -সংকলিত ‘রবীন্দ্রগ্রন্থপঞ্জী' প্ৰথম খণ্ড (১৩৮০) এবং শুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায় -সম্পাদিত ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী” পাঠান্তরী-সংবলিত সংস্করণ (১৩৬৭) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। ‘পুষ্পাঞ্জলি” কাদম্বরী দেবীর শোচনীয় আত্মহননের (বৈশাখ ১২৯১) পটভূমিকায় লেখা। ইহা বৈশাখ ১২৯২-সংখ্যা ভারতী’-তে প্ৰকাশিত হইলেও ইহার রচনাকাল অন্তত ভাদ্র ১২৯১-এর পূর্ববতী, কারণ রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত ‘পুষ্পাঞ্জলি'-র পাণ্ডুলিপির (অভিজ্ঞান সংখ্যা ৮৫) অন্তৰ্গত৷ “তোরা বসে গাঁথিসমােলা' গানটি ‘হায়' শিরোনামে "ভারতী-র ভাদ্র ১২৯১-সংখ্যায় মুদ্রিত হইয়াছিল। রচনাটি সম্ভবত একটানা লেখা নয়, ডায়ারির মতো এক-এক দিনে একটি বা দুইটি করিয়া অনুচ্ছেদ, কবিতা বা গান লিখিত হইয়াছে— সবগুলিই কাদম্বরী দেবীর স্মৃতি-সুরভিত। রচনাটি রবীন্দ্র-রচনাবলী সপ্তদশ খণ্ডে : সুলভ নবম খণ্ডে ‘জীবনস্মৃতি” গ্রন্থের 'গ্রন্থপরিচয়’ অংশে মুদ্রিত হইয়াছিল, বর্তমান খণ্ডে স্বতন্ত্র রচনার মূল্য দিয়া প্রকাশিত হইল। ১৪-১৫, ১২৯০ বঙ্গাব্দে ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইয়া গিয়াছিল বলিয়া সম্ভবত እyዪኃ. Sዓ. Sbr. yaSo: RO. RS. RR SO. একই জাতীয় বর্তমান রচনাগুলি কোনো গ্রন্থভুক্ত হয় নাই। যৌবনে যাহারা রবীন্দ্রনাথের অন্তরঙ্গ বন্ধুশ্রেণীর অন্তর্গত ছিলেন, তঁহাদের মধ্যে অন্যতম নগেন্দ্ৰনাথ গুপ্ত (১৮৬১-১৯৪০) ১৮৮৪ সালে Phoenir পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব লইয়া করাচি-প্রবাসী হন। বর্ষার চিঠি” এই পত্রাকার প্রবন্ধটি তাহারই উদ্দেশে রচিত। কৌতুক, বাল্যস্মৃতির রোমন্থন, কবিত্বময় কল্পনার সংমিশ্রণে উপভোগ্য এই রচনাটির স্মৃতিচারণের অংশটি জীবনস্মৃতি'-র কোনো কোনো বর্ণনাকে মনে করাইয়া দেয়। ১৮৭৮ সালে ইংলন্ডে অবস্থানকালে তুষারপাতের দৃশ্য দেখার রোমাঞ্চকর প্রথম অভিজ্ঞতা রবীন্দ্রনাথ বরফ পড়া” রচনাটিতে বালকদের চিত্তাকর্ষক করিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন। শিউলি ফুলের গাছ অলস কবিকল্পনায় পূর্ণ একটি গদ্য রচনা। ‘বানরের শ্রেষ্ঠত্ব’ একটি ব্যঙ্গরচনা, তৎকালে একশ্রেণীর বাঙালি বুদ্ধিজীবী আৰ্যত্বের মািটর যে অলীক গর্ব প্রকাশ করতেন তাহৰেই এই রচনার উন্ন পাৰাত কর জ্ঞানদােনন্দিনী দেবী রবীন্দ্রনাথকে কাৰ্যাধ্যক্ষ করিয়া বালক-বালিকাদের জন্য “বালক’ পত্রিকা প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহার নাম সম্পাদিক বলিয়া ঘোষিত হইলেও রবীন্দ্রনাথই ছিলেন প্রকৃত সম্পাদক। এক বৎসর এই কাজ করিয়া তিনি উক্ত দায়িত্ব ত্যাগ করেন। “কাৰ্যাধ্যক্ষের নিবেদন’ রচনাটি তাহারই কৈফিয়ত। বর্তমান বিভাগের ২১-৩২ সংখ্যক রচনাগুলি ‘পারিবারিক স্মৃতিলিপি পুস্তক’ নামাঙ্কিত রবীন্দ্রভবনের ২৭২-সংখ্যক পাণ্ডুলিপিতে লিখিত হইয়াছিল, এই পাণ্ডুলিপির পরিচয় পূর্বেই দেওয়া হইয়াছে। ইহার অন্তর্গত বিচিত্র-বিষয়ক রচনাগুলি এখানে সংকলিত হইয়াছে। ইহাদের রচনাকাল ও অন্যান্য জ্ঞাতব্য তথ্য নিম্নে প্রদত্ত হইল‘সৌন্দর্য ও বল, রচনা : ২১ নভেম্বর ১৮৮৮ (৭ অগ্রহায়ণ। ১২৯৫)। “আবশ্যকের মধ্যে অধীনতার ভাব, রচনা : ২১ নভেম্বর ১৮৮৮ (৭ আগ্রহায়ণ ১২৯৫) { সপ্তমীপূজা। ১৮৮৯’ (১ অক্টোবর : ১৬ আশ্বিন ১২৯৬)-র দিন শরৎকাল’-শীর্ষক একটি প্রস্তাবে রবীন্দ্রনাথ শরৎপ্রকৃতিকে অবলম্বন করিয়া তাহার পূর্বসূতি বর্ণনা করিয়াছেন। ইহার মূল ভাবনাটি অবলম্বন করিয়া তিনি পঞ্চভূত গ্রহের ‘গদ্য ও পদ্য” প্রবন্ধের প্রথম অনুচ্ছেদটি রচনা করেন (সাধনা, ফাল্গুন ১২৯৯)। পরে মূল রচনাটির ঈষৎ সংস্কার করিয়া