পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

じr>や রবীন্দ্র-রচনাবলী লিখিয়াছেন, “রবীন্দ্রনাথ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ও তিনিই সভাপতির সম্ভাষণের সারমর্ম বাংলায় পাঠ করিয়াছিলেন।” বহু বৎসর পরে ‘রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রনৈতিক মত’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববতী বৎসরে নাটাের-সম্মেলনে বাংলাভাষা প্রবর্তনে তাহার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করিয়া লেখেন, “পর বৎসরে রুগণ শরীর নিয়ে ঢাকা-কনফারেনসেও আমাকে এই চেষ্টায় প্রবৃত্ত হতে হয়েছিল”। এই চেষ্টার পরিচয় পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথকৃত কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইংরেজি ভাষণের বাংলা অনুবাদ “প্রাদেশিক সভার মােঝ রচনায়। বার্ষিক সৃষ্টতে অনুবাদক হিসাবে রবীন্দ্রনাথের নাম উল্লিখিত w উনিশ শতকের বাংলা সাময়িকপত্রগুলি অনেক সময়েই রচনার সহিত লেখকের নাম প্ৰকাশ করিত না। কখনো কখনো মলাটে লেখকের নাম উল্লিখিত হইলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে পত্রিকাগুলি বাঁধাই করিবার সময়ে মলাট ও বিজ্ঞাপনের পৃষ্ঠাগুলি বাদ দেওয়ার ফলে অনেক মূল্যবান ঐতিহাসিক তথ্যের সঙ্গে লেখকের পরিচয়টিও লুপ্ত হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের প্রথম বয়সের অনেক রচনা এই কারণে বিতর্কের সৃষ্টি করিয়াছে। বর্তমান রচনাবলীর মূল অংশে এইরূপ বিতর্কিত কিছু রচনা অভ্যন্তরীণ ও অন্যান্য তথ্যের বিচার করিয়া রবীন্দ্রনাথের লেখা বলিয়া গ্ৰহণ করা হইয়াছে। কিন্তু কয়েকটি রচনার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহ হওয়া সম্ভবপর হয় নাই। সেই রচনাগুলি ইতিহাসের সূত্র রক্ষার খাতিরে বর্তমান পরিশিষ্টের অন্তর্গত করা হইল। রচনাগুলির সাময়িকপত্রে প্রকাশসূচি ও অন্যান্য তথ্য নিম্নে প্রদত্ত হইল ১. শারদ জ্যোৎস্নায় ভগ্নহৃদয়ের গীতোছাস ভারতী, কার্তিক ১২৮৪ গ্ৰহগণ জীবের আবাসভূমি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, পৌষ ১৭৯৬ শক (১২৮১) R. ৩. বঙ্গে সমাজ-বিপ্লব ভারতী, মাঘ ১২৮৪ ৪. বিজন চিন্তা : কল্পনা डाली, कानून S २v8 ৫. কবিতা-পুস্তক । ख्ाऊँी, डांच & २५१ ৬. আবদারের আইন मर्थनी, भो S७०S সজনীকান্ত দাস তাহার ‘রবীন্দ্রনাথ ; জীবন ও সাহিত্য’ (১৩৬৭) গ্রন্থে ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনার সূচী তৈয়ারি করিতে গিয়া লিখিয়াছেন, “এই তালিকা ধূত রচনাগুলিকে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং একটি দলিলে স্বীকৃতি দিয়াছেন”। রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরিত এই তালিকায় উপরে উল্লিখিত ‘শারদ জ্যোৎস্নায় ভগ্নহৃদয়ের গীতোচ্ছোস’, ‘বঙ্গে সমাজ-বিপ্লব’ ও ‘কবিতা-পুস্তক' রচনা তিনটি আছে। " ১. শারদ জ্যোৎস্নায় ভগ্নহৃদয়ের গীতোচ্ছেসি’ কবিতাটিকে তালিকাভুক্ত করিয়া সজনীকান্ত দাস মন্তব্য করিয়াছেন, “এই কবিতাটিকে অক্ষয়চন্দ্ৰ চৌধুরীর বলিয়া কেহ কেহ মনে করেন। কিন্তু শেষ চার পংক্তিতে “ভানু!” দেখিয়া রবীন্দ্রনাথকেই ইহার রচয়িতা বলিয়া মনে হয়।’ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের প্রথমাংশ, বেদান্তবাগীশ মহাশয়-কর্তৃক সংশোধিত, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, ৮ম কল্প, ৩য় ভাগ, ১৭৯৫ শকাব্দ,জ্যৈষ্ঠ হইতে কয়েক সংখ্যায়।' ১২৮০ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে ‘জীবনস্মৃতি” গ্রহের প্রথম পাণ্ডুলিপিতে লিখিয়াছেন, ‘প্রক্টরের লিখিত সরলপাঠ্য জ্যোতিষ গ্ৰন্থ হইতে তিনি আমাকে স্থানে স্থানে বুঝাইয়া দিতেন আমি তাহা বাংলায় SDBDS DB DD DBDD BDDB DDBB BBBBuS LLLS uDD DB বলে যেতেন। তাই মনে করে তখনকার কঁচা হাতে আমি একটা বড় প্রবন্ধ লিখেছি। স্বাদ পেয়েছিলুম বলেই লিখেছিলুম, জীবনে এই আমার প্রথম ধারাবাহিক রচনা, আর সেটা