Sębo রবীন্দ্র-রচনাবলী পণ্ডিতমহাশয় তো এ কথার ভাবই বুঝিতে পারিলেন না। নিধি কহিল, “গদাধর নামে একটি বাৰু আসিয়াছেন, দেখিয়াছ ?” পণ্ডিতমহাশয় শূন্তগর্ত একটি ই দিয়া গেলেন। নিধি কছিল, “সেই ভদ্রলোকটির সঙ্গে কাত্যায়নীপিসি কলিকাতা ভ্রমণ করিতে গিয়াছেন।” পণ্ডিতমহাশয়ের মুখ শুকাইয় গেল, কিন্তু তিনি এ কথা কোনোক্রমেই বিশ্বাস করিতে চাহিলেন না। তিনি কছিলেন, তিনি নন্দীদের বাড়ি ভালো করিয়া দেখেন নাই, সেখানেই নিশ্চয় আছেন। এই বলিয়া নন্দী আদি করিয়া আর-একবার সমস্ত বাড়ি অন্বেষণ করিয়া আসিলেন, কোথাও সন্ধান পাইলেন না। মানবদনে বাড়িতে ফিরিয়া আসিলেন । নিধি কহিল, “আমি তো পূর্বেই বলিয়াছিলাম যে, এরূপ ঘটিবে।" কিন্তু তিনি পূর্বে কোনোনি এ সম্বন্ধে কোনো কথা বলেন নাই। সিন্দুক খুলিতে গিয়া পণ্ডিতমহাশয় দেখিলেন, কাত্যায়নী ঠাকুরানী শুদ্ধ যে নিজে গিয়াছেন এমন নহে, যত-কিছু গহনাপত্র টাকাকড়ি ছিল তাহার সমস্ত লইয়া গিয়াছেন। দ্বার রুদ্ধ করিয়া পণ্ডিতমহাশয় সমস্ত দিন কাদিলেন । নিধি কহিল, “এ সমস্তই নরেন্দ্রের ষড়যন্ত্রে ঘটিয়াছে, তাহার নামে নালিশ করা হউক, আমি সাক্ষী তৈয়ার করিয়া দিব ।” নিধি এরূপ একটা কাজ হাতে পাইলেই বাচিয়া যায় । পণ্ডিতমহাশয় কহিলেন, বাহা তাহার ভাগ্যে ছিল হুইয়াছে, তাই বলিয়া তিনি নরেন্দ্রের নামে নালিশ করিতে পারেন না । নিধিকে লইয়া পণ্ডিতমহাশয় কলিকাতায় আসিলেন। একদিন দুই প্রহরের রৌত্রে পণ্ডিতমহাশয়ের শ্রাস্ত স্কুল দেহ কালীঘাটের ভিড়ের তরঙ্গে হাবুডুবু খাইতেছে, এমন সময়ে সম্মুখে একটি সেকেন্ড, ক্লাসের গাড়ি আসিয়া দাড়াইল । পণ্ডিতমহাশয়ের शकिब्र एक्थ। श्हेब्रांtझ, कांजौघां श्हेरठ कजिब्रा शाझेशन डांशद्र ८sडे कब्रिtठtइन । গাড়ি দেখিয় তাহ অধিকার করিবার আশায় কোনোপ্রকারে ভিড় ঠেলিয়া-টুলিয়া সেই দিকে উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন গাড়ি হইতে প্রথমে একটি বাৰু ও তাহার পরে একটি রমণী হাসিতে হাসিতে, পান চিবাইতে চিৰাইতে, গাড়ি হইতে মাৰিলেন ও হেলিতে দুলিতে মন্দিরাভিমুখে চলিলেন। পণ্ডিতমহাশয় সে রমণীকে দেখিয়া অবাক হইয়া গেলেন। সে রমণীটি তাহারই কাত্যায়নী ঠাকুরানী! তাড়াতাড়ি ছুটয় তাহার পার্থে জাসিয়া উপস্থিত হইলেন– কাত্যায়নী তাহার উচ্চতম স্বরেকছিলেন,"কেরে মিলে। গায়ের উপর আসিয়াপড়িলৰে৷ মরণঘার-কি।"
