পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মপরিচয় २०१ R অকালে যাহার উদয় তাহার সম্বন্ধে মনের আশঙ্কা ঘূচিতে চায় না। আপনাদের কাছ হইতে আমি ষে সমাদর লাভ করিয়াছি সে একটি অকালের ফল— এইজন্ত ভয় হয় কখন সে বৃত্তচু্যত হইয় পড়ে। অস্তান্ত সেবকদের মতো সাহিত্যসেবক কবিদেরও খোরাকি এবং বেতন এই দুই রকমের প্রাপ্য আছে। তার প্রতিদিনের ক্ষুধা মিটাইবার মতো কিছু কিছু যশের থোরাকি প্রত্যাশা করিয়া থাকেন— নিতান্তই উপবাসে দিন চলে না। কিন্তু এমন কবিও আছেন তাহাঙ্গের আপ-খোরাকি বন্দোবস্ত— তাহারা নিজের আনন্দ হইতে নিজের খোরাক জোগাইয়া থাকেন, গৃহস্থ তাহাদিগকে একমুঠা মুড়িমুড়কিও দেয় না। এই তো গেল দিনের খোরাক — ইহা দিন গেলে জোটে এবং দিনের সঙ্গে ইহার ক্ষয় হয়। তার পরে বেতন আছে। কিন্তু সে তো মাস না গেলে দাবি করা যায় না। সেই চিরদিনের প্রাপ্যটা, বাচিয়া থাকিতেই আদায় করিবার রীতি নাই । এই বেতনটার হিসাব চিত্রগুপ্তের খাতাঞ্চিখানাতেই হইয়া থাকে। সেখানে হিসাবের छूल थॉम्न श्ञ्च मां । কিন্তু বাচিয়া থাকিতেই যদি আগাম শোধের বন্দোবস্ত হয় তবে সেটাতে বড়ো সন্দেহ জন্মায়। সংসারে অনেক জিনিস ফাকি দিয়া পাইয়াও সেটা রক্ষা করা চলে। অনেকে পরকে ফাকি দিয়া ধনী হইয়াছে এমন দৃষ্টান্ত একেবারে দেখা যায় না তাহ নহে। কিন্তু যশ জিনিসটাতে সে সুবিধা নাই। উহার সম্বন্ধে তামাদির আইন খাটে না। যেদিন ফাকি ধরা পড়িবে সেইদিনই ওটি বাজেয়াপ্ত হইবে। মহাকালের এমনি বিধি। অতএব জীবিতকালে কবি যে সন্মানলাভ করিল সেটি সম্বন্ধে নিশ্চিন্তু হুইবার cखां मांझे । उपू७हे मन्त्र । बैग्नि थाकिएउद्दे बरि बाश्मि झुकाहेच्चा ज७द्रा श्ब्र अब ८गझे। সম্পূর্ণ কবির হাতে গিয়া পড়ে না। কবির বাহির-দরজায় একটা মানুষ দিনরাত আড্ডা করিয়া থাকে, সে দালালি আদায় করিয়া লয়। কবি যতবড়ো কবিই হউক, তাহার সমস্তটাই কবি নয়। তাহার সঙ্গে সঙ্গে যে-একটি অহং লাগিয়া থাকে, সকল-তাতেই সে আপনার ভাগ বসাইতে চায় তাহার বিশ্বাস, কৃতিত্ব সমস্ত তাহারই এবং কবিত্বের গৌরব তাহারই প্রাপ্য। এই বলিয়। সে খলি ভর্তি করিতে থাকে। এমনি করিয়া পূজার নৈবেন্ত গুরুত চুরি করে। কিন্তু মৃত্যুর পরে ঐ অহং-পুরুষটার বালাই থাকে না, তাই পাওনাটি নিরাপদে ৰখাস্থানে গিয়া পৌঁছে।